বীরঙ্গনা সখিনা চলে গেলেন পরপারে, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

এফএনএস (মহিউদ্দিন লিটন; হাওর অঞ্চল, কিশোরগঞ্জ) : | প্রকাশ: ১৭ জুন, ২০২৫, ০৮:২৯ পিএম
বীরঙ্গনা সখিনা চলে গেলেন পরপারে, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

মুক্তিযোদ্ধের সময় যেসব নারী বীরত্বের সঙ্গে রণাঙ্গনে লড়াই করে সাহসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সখিনা বেগম। তিনি আজ পরপারে চলে গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আজ দাফন করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে দা দিয়ে কুপিয়ে পাঁচ রাজাকারকে হত্যা করেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা তাঁর সাহসিকতার কথা এখনো জীবিত মুক্তিযোদ্ধারা ও স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দাদের মুখে মুখে। কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত উপজেলা নিকলীর গুরুই ইউনিয়নের গুরুই গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তার বাবার নাম: মৃত সোনাফর মিয়া এবং মায়ের নাম: দুখী বিবি সখিনা বেগম ছিলেন(নিঃসন্তান)। মুক্তিযোদ্ধের আগেই মারা যান তার স্বামী কিতাব আলী (১৯৭১) সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি নেমে পড়েন সশস্ত্র যুদ্ধে। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার বয়স ৯২ বছর। সখিনা বেগমের সন্তান না থাকার কারণে নিকলীর সীমান্তবর্তী বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় থাকতেন। সেখানে থাকে দেখবাল করতেন তার ভাগ্নি খাইরুন্নেছা আক্তার। সরজমিনে ওই বাড়িতে গেলে খাইরুন্নেছা আক্তার দৈনিক যায় যায় দিন কে বলেন ১৭ই জুন আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টায় তার মৃত্যু হয়। তিনি বলেন মুক্তিযোদ্ধে অংশ নিয়ে কিছু গল্প মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমের ভাগ্নে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে হানাদার পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের শহিদ হন। স্থানীয় একাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী জানান মুক্তিযোদ্ধের সময় তিনি গুরুই এলাকার বসুবাহিনীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাধুঁনীর কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। নিকলী উপজেলা মুক্ত করার সময়ও সখিনা বেগম খবর সংগ্রহে সক্রিয় ছিলেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে