সরকারি নিয়ম অনুযায়ি শারীরিক কাঠামোসহ ওজন ও সুস্থ বাছুর সরবরাহ না করায় জেলেদের মাঝে বিতরণ না করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে বকনা বাছুর ফেরত পাঠিয়েছেন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারিহা তানজিন।
বুধবার দুপুরে তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারিহা তানজিন জানান, উপজেলা পরিষদ চত্বরে ৮৫ জন মৎস্যজীবীর মাঝে বাছুর বিতরণ করতে গিয়ে ৪০ জনকে বিতরণ করা হলেও বাকি ৪৫টি বকনা বাছুর ওজনে কম হওয়ায় তা ফেরত পাঠানো হয়েছে। সঠিক নিয়মে পূর্ণরায় বাছুর সরবরাহের পর বাকি ৪৫ জন জেলের মাঝে তা বিতরণ করা হবে।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেশীয় প্রজাতির মাছ, শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পর আওতায় অন্যান্য উপজেলা মতো ৮৫জন মৎস্যজীবির মধ্যে বকনা বাছুর বিতরণের কথা ছিল। দেশীয় মাছের প্রজণন রক্ষা ও জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার।
সূত্রমতে, আগৈলঝাড়া উপজেলায় ৮৫ জন সুবিধাভোগীর মাঝে বাছুর সরবরাহের কার্যাদেশ দেয়া হয় সিমেন্স এলাইন্স বিডি লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। যার মালিক মালিক ধীরেন্দ্র নাথ। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আব্দুল বেপারী ৮৫টি বাছুর উপজেলায় সরবরাহ করেন। সরকারি নিয়মানুযায়ি প্রতিটি বাছুর ৭০ কেজি ওজনের দেয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত ৪৫টি বাছুরের ওজন ছিল ৫৫ থেকে ৬০ কেজি। এছাড়াও বাছুরগুলো ছিল রোগাক্রান্ত। তাই ওই ৪৫টি বাছুর ফেরত দেওয়া হয়েছে।