দূর্ভোগে মানুষ

তানোরে সিএনজি ও বাস শ্রমিকদের সংঘর্ষ, বন্ধ যানবাহন চলাচল

এফএনএস (তানোর, রাজশাহী)
| আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম | প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৩:০৫ এএম
তানোরে সিএনজি ও বাস শ্রমিকদের সংঘর্ষ, বন্ধ যানবাহন চলাচল

সিএনজি চালক ও বাস ড্রাইভার আর শ্রমিকদের সংঘর্ষের সূত্রধরে রাজশাহীর তানোর রুটে দুদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল। সম্প্রতি সোমবার থেকে  মঙ্গলবার পর্যন্ত কোন ধরণের বাস কিংবা সিএনজি এ রুটে চলাচল করতে দেখা যায়নি। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। অভিযোগ ও তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, গত ২৫ নভেম্বর থেকে তানোর রুটের পবা উপজেলার বাগধানী নামক স্থানে সিএনজি চলাচল বন্ধ করে চালকদের মারধর করে বাসমালিক আর শ্রমিক সংগঠনের লোজজন। এতে নিরুপাই হয়ে সিএনজি চালকরা জেলার পবা থানার ওসি জেলার এসপি আর ডিসি বরাবর অভিযোগ দেয়। এছাড়াও দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী কেউ অবহিত করে সিএনজি চালকরা। কিন্তু এতো দিনেও কোন সুরহা হয়নি। ফলে সিএনজি বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে গিয়ে পথে বসে চালকরা।

এতে নিরুপাই হয়ে সোমবার দুপুরে তানোর ফায়ার সার্ভিস ও থানা মোড়ে উভয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। ফলে অন্তত ৫ জন বাস শ্রমিক আহত হয়। আহতরা হলেন, বাসচালক স্বপন আলী, বাবর, শাহীন, নুরুজ্জামান ও সুপারভাইজার জিয়া। পরে আমনুরা থেকে ছেড়ে আসা বেশ কয়েকটি বাস থানা মোড়ে অবস্থান নিয়ে হৈচৈ করে ড্রাইভার ও হেলপাররা। এহেন পরিস্থিতিতে বাস শ্রমিকের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযোগের সূত্রধরে সিএনজি চালক কুদরত আলী (৫০), শাহীন (৩৫) ও নবাব আলীকে (৪০) থানা পুলিশ আটক করে।

অপরদিকে, এঘটনার সূত্রধরে রাজশাহী থেকে সকল রুটে চলাচল বন্ধ করে দেয় বাসের শ্রমিকরা। একই সাথে সিরোইল বাস টার্মিনালের সামনের সড়ক অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা এলোমেলো করে বাস রেখে সড়ক বন্ধ করে দেয়। এমন ঘটনার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে।

রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন, বিষয়টি সুরহা না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিকেরা বাস ছাড়ছে না। রাজশাহী থেকে সব রুটের বাস বন্ধ আছে। শুধু বাইরে থেকে আসা বাস চলে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, তানোরে আমাদের পাঁচ-ছয়জন শ্রমিককে মেরে আহত করেছে সিএনজি চালকরা। ফলে শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

বাস শ্রমিকরা জানায়, ‘রাজশাহীতে বিআরটিএর অনুমোদন ছাড়াই অবৈধ ভাবে শতাধিক সিএনজি চলাচল করছে। এবিষয়ে বাস মালিক ও শ্রমিকদের পক্ষ থেকে বারংবার অভিযোগ করা হলেও পুলিশ কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এর উপর তারা উল্টো বাস শ্রমিকদের মারপিট করে আহত করেছে। তবে, এব্যাপারে সিএনজি চালকরা বলেছেন, বৈধ কাগজপত্র নিয়ে রাস্তায় সিএনজি চালায়। এরপরও বাস ড্রাইভার ও হেলপাররা তাদের সিএনজি চলাচল বন্ধ করে দেয়। 

এব্যাপারে তানোর থানার ওসি মিজানুর রহমান মিজান বলেন, বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকদের সমস্যা পুরোনো। এরা শহরে গেলে তাদের সিএনজি আটকানো হয়। এরা তখন তানোরে বাসের চালক-হেলপারদের দাপট দেখায়। যাত্রী নামিয়ে নেওয়ার জের ধরে তানোর ফায়ার সার্ভিস মোড়ে এ মারামারির ঘটনা ঘটে। এঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে