পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে পিকআপ ভ্যান ক্রয়কে কেন্দ্র করে সোমবার (২৩ জুন) সকালে বিএনপি'র দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। এসময় ৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহতরা হলেন,মথুরাপুর গ্রামের সাইদুল ইসলাম (৩২),রতনপুর গ্রামের আফছার বিশ্বাস (৫৫),রাজু প্রাং (৩০),মাহমুদুল হাসান (১৬),মোসলেম উদ্দিন (২৬),মোজাই মেম্বার (৫৫),চক উথুলী গ্রামের ফয়সাল হোসেন (২৮),রতনপুর গ্রামের রেজাউল,অমৃতকুন্ডা গ্রামের লিপু বিশ্বাস (৪৫),খোকন (৩০)। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানা গেছে,রতনপুর গ্রামের গরুর রেপারী আয়নাল হকের সাথে একই গ্রামের জিনাপ আলি জনির পিকআপ ভ্যান কেনাকে কেন্দ্র করে বিরোধ দেখা দেয়। জিনাপ আলি পিকআপ ভ্যান কেনার শেয়ারে থাকবেনা বলে টাকা ফেরত চান। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার কথা থাকলেও সোমবার সকালে ১১টার দিকে জিনাপ আলি আয়নালের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে জিনপ আলি গং চাটমোহর রেলবাজার এলাকা থেকে মোটরসাইকেল যোগে লোকজন নিয়ে এসে আয়নুল ও তার লোকজনের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। ভাঙচুর করা হয় মূলগ্রাম ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোজাম্মেল হক মোজাই এর মুদি দোকান। এ সময় আইনুল গং জিনাপ আলি ও তার লোকজনের উপর লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চারিয়ে মারপিট করে। তারা জিনাপ আলীর লোকজনের ৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করাসহ মারপিটে কয়েকজনকে আহত করে। খবর পেয়ে চাটমোহর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশ ভাঙচুর করা ৪টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে। সংঘর্ষে আহত ৬জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন জানান,বিষয়টি নিয়ে আগামী বুধবার বসার কথা ছিল। আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনুল,সে এখন বিএনপি পরিচয় দিয়ে বিএনপি'র নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করাসহ মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
ইউপি সদস্য মোজাম্মেল মজাই বলেন,আইনুল বিএনপি'র কর্মী। জিনাপ আলি লোকজনকে সাথে নিয়ে এসে আইনুলের বাড়িতে এবং আমার দোকানে আমলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। এলাকার লোকজন শুধু তাদেরকে প্রতিহত করে।
চাটমোহর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন কুমার সরকার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশ ভাঙচুরকৃত ৪টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই অভিযোগ দেননি,অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।