দিরাইয়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ চার সন্ত্রাসী আটক, গোলাগুলিতে নিহত ১

এফএনএস (একে কুদরত পাশা; দিরাই, সুনামগঞ্জ) : | প্রকাশ: ২৩ জুন, ২০২৫, ০৬:০৬ পিএম
দিরাইয়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ চার সন্ত্রাসী আটক, গোলাগুলিতে নিহত ১

সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘটিত গোলাগুলির ঘটনায় সেনাবাহিনী ও যৌথ বাহিনীর অভিযানে চারজন সন্ত্রাসী আটক এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে গোলাগুলির সময় এক অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২০ জুন ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে কুলঞ্জ ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান একরার হোসেন এবং বিএনপির ইউনিয়ন সভাপতি আতিকুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে একজন বেসামরিক নাগরিক গুলিবিদ্ধ হন। একরার হোসেন ও তার অনুসারীরা এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়াচ্ছিলেন বলে অভিযোগ উঠে।

গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে, ২২ জুন সেনাবাহিনীর একটি টহল দল কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় একরার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর উপর গুলি চালায়, যার জবাবে সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। পরে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মৃত্যু কার গুলিতে হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে চারজন সন্ত্রাসী-তাজ উদ্দিন, আমির উদ্দিন, ইরন মিয়া ও জমির মিয়া-কে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, নিহত ব্যক্তি অজ্ঞাত কোন গুলিতে প্রাণ হারান। তাদের বাড়িতে চালানো তল্লাশিতে উদ্ধার করা হয়: একটি একনলা বন্দুক, ৪টি পাইপ গান, ৭টি রামদা, ৯টি বল্লম, ৬টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, একটি তাজা গুলি এবং একটি ব্যবহৃত ব্ল্যাংক কার্টিজ।

২৩ জুন ভোরে যৌথ বাহিনীর অভিযান শেষ হয়। আটক ব্যক্তিদের ও জব্দকৃত সরঞ্জামাদি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে