বরগুনা জেলার সদর উপজেলার আওতাভুক্ত কেজি স্কুল সংলগ্ন একটি দোকান থেকে ১৫ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন ২০২৫) রাতে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে এ চাল উদ্ধার করা হয়, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,৭ নং ঢলুয়া ইউনিয়নের একটি সরকারি বরাদ্দের চাল হতে পারে এটি। দোকানদার শাহিনের চাচা ঢলুয়ার মেম্বার কবিরের কাছ থেকে তিনি তার কাছ থেকে ২১০০ টাকা দরে প্রতি বস্তা চাল ক্রয় করে থাকেন। ধারনা করা হচ্ছে কোনো বরাদ্দ অথবা জেলেদের চাল হতে পারে এটি!
স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে তারা দোকান ঘেরাও করে এবং স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেয়। পরে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ ও থানা পুলিশের উপস্থিতিতে মোট ১৫ বস্তা চাল জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, জব্দকৃত চালগুলো সরকারি ভিজিডি, কাবিখা বা অন্য কোনো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ করা হয়ে থাকতে পারে। তবে চাল কীভাবে কেজি স্কুল এলাকার দোকানে পৌঁছাল এবং এর সঙ্গে কারা জড়িত, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
অন্যদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ইউনিয়ন পর্যায়ে চাল বণ্টনে অনিয়ম চলছিল, কিন্তু প্রশাসনের নজরদারির অভাবে এসব ঘটনা আড়ালে থেকে যাচ্ছিল। এ বিষয়ে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.ইয়াসির আরাফাত রানা বলেন, “চাল উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।” ৭ নং ঢলুয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোকলেস বলেন, এই ১৫ বস্তা চাল জেলেদের, যাদের নামে বিতরন করা হয়েছে আমার কাছে তাদের মাস্টার রোল রয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কবির মেম্বারের মোবাইলে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মধ্যে এবং কেজি স্কুল এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।