অবশেষে শেরপুরের ইউনাইটেড প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতকটিকে শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া কাজীপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় অভিযুক্ত চাঁদনী বেগমকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (২৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নবজাতকটিকে উদ্ধার করা হয়। আটক চাঁদনী বেগম (৩০) শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া কাজীপাড়া এলাকার চাঁন মিয়ার মেয়ে।
ভূক্তভোগী শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার চাপাতলী মহল্লার ব্যবসায়ী মো. ফিরোজ মিয়ার স্ত্রীকে সিজার করার জন্য বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে শেরপুর শহরের বটতলা এলাকার ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং যথারীতি ওই রাতেই ফিরোজ মিয়ার স্ত্রী আবেদা সিজারের মাধ্যমে একটি ফুটফুটে মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন। তখন থেকেই ফিরোজের মা সহ তার দুজন আত্মীয় তাদের সাথে অবস্থান করছিলো। ঘটনাক্রমে একজন অজ্ঞাত নারী তাদের সঙ্গে সখ্যতা তৈরী করেন। ওই নারী তাদের বলেন তার এক আত্মীয় এই হাসপাতালে ভর্তি আছে। পরে শনিবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ৯ টায় শিশুটির মা বাথরুমে গেলে এবং একই সময় অন্য স্বজনরা বাইরে থাকার সুযোগে ওই নারী তাদের বোরকা পড়ে নবজাতক শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায় বোরকা পরিহিত ওই নারী শিশুটিকে নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করছে।
এদিকে, ঘটনার পরপরই পুলিশ নবজাতককে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় শ্রীবরদীর কুরুয়া কাজীপাড়ার জনৈক চাঁন মিয়ার বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় অভিযুক্ত চাঁদনী বেগমকে আটক করা হয়। পরে শিশুটিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
শেরপুর সদর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক নুরে আলম বলেন, অভিযান চালিয়ে নবজাতক উদ্ধারসহ অভিযুক্ত চাঁদনী বেগমকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।