জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের অপসারণসহ দাপ্তরিক সংস্কারের ৩ দফা দাবিতে কাস্টমস অফিসারদের মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচিতে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলে দ্বিতীয় দিনের মত অচলাবস্থা বিরাজ করছে।
আজ রোববার বেনাপোল বন্দর থেকে সব ধরনের পণ্য ডেলিভারী বন্ধ রয়েছে। ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানি বানিজ্যও বন্ধ রয়েছে। ব্যবসায়ীরা এই অচলাবস্থা নিরসনের জোর দাবি জানিয়েছেন।
বেনাপোল আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সহ সভাপতি আমিনুল হক জানান, কাস্টমসের চলমান অচলাবস্থায় বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি বন্ধ রয়েছে। এ অচলাবস্থা অব্যাহত থাকলে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন। উভয় দেশের বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে শতশত পণ্যবাহী ট্রাক। পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে গার্মেন্টস ইন্ডাস্টিজের কাঁচামাল বন্দরে আটকে থাকায় ফেক্টরি গুলোতে ব্যহত হচ্ছে উৎপাদন।এ কারণে দ্রুত কাস্টমস কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। আন্দোলনে দেশের অর্থণীতিতে বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশের প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বানিজ্য হয়ে থাকে। প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে গড়ে ৫০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়, রপ্তানি হয় ২৫০ ট্রাক। পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় ওপারে ৩ হাজার পন্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে আছে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায়। এ অবস্থায় দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকার প্রতিবছর এই বন্দর থেকে ৮ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে থাকে প্রত্যক্ষ ও পরক্ষভাবে। প্রতিদিন সরকারকে ২০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের এ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার দয়াল রায় জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের অপসারণ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ ৩ দফা দাবিতে কাস্টমস অফিসারদের সংগঠন ‘কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট এক্সিকিউটিভ অফিসারস অ্যাসোসিয়েশন’ কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ শাটডাউন চলছে। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। ফলে আজও (রোববার) পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।