সরকারি নির্দেশনা ভঙ্গ করায় নলকুপ মালিকের জেল জরিমানা

এফএনএস (মোঃ হাসান আলী মন্ডল; ক্ষেতলাল, জয়পুর হাট) : | প্রকাশ: ৭ জুলাই, ২০২৫, ০৫:০২ পিএম
সরকারি নির্দেশনা ভঙ্গ করায় নলকুপ মালিকের জেল জরিমানা

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে সেচ কাজে সরকারি নির্দেশনা ভঙ্গ করে কৃষকদের নিকট থেকে জমা রশিদ ছাড়া অতিরিক্ত সেচ চার্জ আদায়ের অভিযোগে দুই গভীর নলকুপ মালিকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৭ দিন জেল প্রদান করেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার আসিফ আল জিনাত।

(৬ জুলাই) রবিবার বিকেল ৩টায় উপজেলার দুই গভীর নলকুপ মালিক সরকারি নিয়ম ভঙ্গকরে হালখাতা বসিয়ে অতিরিক্ত সেচ চার্জ আদায় করার সময় ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নিবার্হী অফিসার সহ সেচ কমিটির একটি টিম সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া। ওই সময় উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আল জিনাত ঘটনাস্থলেই ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ওই মালিকদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৭ দিন জেল এবং সরকারি নিয়ম মেনে সেচ চার্জ আদায়ের নির্দেশনা প্রদান করেন। 

তারা হলেন, ক্ষেতলাল পৌর এলাকার সাগরামপুর গ্রামের আব্দুল আওয়াল ও উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের সোহেলী গ্রামের লুৎফর শাহ। 

জানাগেছে, ক্ষেতলাল উপজেলা সেচ কমিটি ও বিএমডিএ সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ মৌসুমে সেচ মূল্য নির্ধারণ করা হয়, আলু প্রতি বিঘা এক সেচ ১৫০ টাকা হারে, ৫-৬ টি সেচের মূল্য ৯-১ হাজার ৫০ টাকা ও ইরি মৌসুম শুরু থেকে  শেষ পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ টাকা, মোট ২ হাজার ৩-৪ শত টাকা নেওয়ার বিধান থাকলেও  তারা বিভিন্ন অজুহাতে ২ হাজার ৭-৮ টাকা আদায় করছিলেন।

সুহলী গ্রামের কৃষক মাসুদ রানা বলেন, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যক্তি মালিকানা ডিপ-টিউবওয়েলে বিদ্যুৎ বিলে শত করা ২০ ভাগ ছাড় পায়, সরকারের অন্যান্য সুবিধা তারাই পায়। অথচ কৃষকের উৎপাদিত ফসলের মূল্য যাই হোক, তারা আমাদের উপর জোর খাটিয়ে ইচ্ছেমত সেচ মূল্য চাপিয়ে দেয়। আমরা বাধ্য হয়ে পরিশোধ করে সর্বশান্ত হই। আবার নতুন বছরে নতুন করে ফসল ফলাতে আশায় বুক বাঁধি। কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নাই।

নলকূপ মালিকরা বলছেন, গভীর নলকুপের যন্ত্রাংশের মূল্য বৃদ্ধি ও বর্তমান পরিস্থিতিতে রাতের পাহারাদারকে অধিক মজুরি দিয়ে রাখতে হয়। এর উপর আবার চোর- ডাকাতের উপদ্রপ থেকে বাঁচতে নিয়মিত চাঁদা দিতে হয়। সব মিলিয়ে আমরাও নিরুপায়।

অভিযান পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন, ক্ষেতলাল থানা ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন, বিএমডিএ সহকারী প্রকৌশলী মুনছুর রহমান, ক্ষেতলাল পল্লী বিদ্যুৎ সাব অফিসের এজিএম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য, সাংবাদিক, নজরুল ইসলাম, আজিজুল হক, হাসান আলী, আঃ রাজ্জাক সহ প্রমুখ।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে