কুমিল্লা সংরাইশে সাহেব বাড়ির পুকুর ভরাট : নিরব প্রশাসন

এফএনএস (মোঃ হাবিবুর রহমান খান; কুমিল্লা) : | প্রকাশ: ৭ জুলাই, ২০২৫, ০৬:২১ পিএম
কুমিল্লা সংরাইশে সাহেব বাড়ির পুকুর ভরাট : নিরব প্রশাসন

কুমিল্লায় একের পর এক পুকুর ভরাট করে ফেলছে কতিপয় প্রভাবশালী মহল। দীর্ঘ দুই যুগে প্রায় দুই শতাধিক ভরাট করা হয়েছে। নিরব ভূমিকা পালন করছেন পরিবেশ অধিদপ্তরসহ জেলা প্রশাসন।  গত দুই যুগ ধরে নগরীর ঝাউতলা খান সাহেবের পুকুর, লাকী হাউসের পুকুর, কাসেমুল উলুম মাদরাসার পাশের দুটি পুকুর, নাদিপা হাউজিং পুকুর, দক্ষিণ চর্থা থিরা পুকুর, শহরের উত্তর চর্থার তেলিয়া পুকুর, সংরাইশ এলাকার কালীমন্দির পুকুরসহ তিনটি পুকুর, কুমিল্লা অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়ের সুপারিবাগানের দুটি পুকুর, দারোগাবাড়ির বড় অন্দরের পুকুর, কুমিল্লা শহরের ফরিদা বিদ্যায়তনের দক্ষিণ পাশের জনাদের পুকুর, ঝাউতলা খ্রিস্টানপাড়ার পুকুর, প্রফেসর পাড়ার চারটি পুকুর, কোতোয়ালি থানার পেছনের দুটি পুকুর, কুমিল্লা পুলিশ লাইনসের কয়েকটি পুকুর, ধর্মসাগর দিঘির পারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পুকুর। আর এখন ভরাট করছে ১৬নং ওয়ার্ডের সাহেব বাড়ি পাশে হলিচাইল্ড স্কুলের সামনের রাস্তার পাশের শতবর্ষ পুরাতন একটি পুকুর। পুকুরটি রাতের আধারে একটি মহল ভরাট করে ফেলছে।

সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়- এই পুকুরটি দখল করে বিক্রি করার জন্য প্রায় ২০১৮ সাল থেকেই একাধিক চক্র সংঘবদ্ধ ভাবে কাজ করছেন। এই পুকুরটি একাধিক ব্যক্তির কাছে বিক্রি হলে পুকুরটি ভরাট করার সময় সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বাধা প্রদান করে প্রশাসন নিয়ে এসে পুকুরটি সংস্কারের ঘোষণা করে যায়। কিন্তু বাজেট এর কারনে পুকুরটি সংস্কার করতে পারেনি এর আগেই মেয়র সাক্কুর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারনে।

পরবর্তীতে আরও একাধিক হাতবদল হয়ে এই পুকুরটি কেনা বেচার। এই পুকুর কেনা-বেচাকে কেন্দ্র করে আওয়ামিলীগ এর দোসর সাবেক এমপি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের মেয়ে সাবেক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনার নির্বাচনে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা খরচ বাবদ ডোনেশন দেওয়া হয়। যাতে এমপি বাহার পুকুরটি ভরাটের সময় প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে পারে। এমপি বাহারের মেয়ে তাহসিন বাহার সূচি ক্ষমতায় এসে সময় পায়নি। ইতিমধ্যে পুকুরের জমি কেনার মালিকেরা হাত বদল করেন। এমপি বাহার ও তার মেয়ে মেয়র সূচি আগষ্ট ২৪ এর আন্দোলনের পরে পালালনোর পরে এখন আবার একটি মহল পুকুরটি বিক্রি করে ভরাট করছেন এতে প্রশাসনে নিরব ভূমিকা পালনের অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী ও স্থানীয় সাংবাদিকরা। স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান শতবর্ষের পুরাতন পুকুরটি প্রথমে ভরাট করা শুরু করলে উক্ত পুকুরে অভিযান পরিচালনা করেন কুমিল্লা সদর ইউএনও কাজ বন্ধ করে দিলেও সাত দিনের ব্যবধানে এখনো আবার গভীর রাতে ভরাট এর কার্যক্রম চালাচ্ছেন ১/২ দিন গেপ দিয়ে দিয়ে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ বাহার ক্ষমতায় থাকা কালে সংরাইশ ১৬ নং ওয়ার্ড এর শতবর্ষ পুরাতন তিনটি পুকুর ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে আওয়ামীলীগ এর দোসররা এতেও কুমিল্লার প্রশাসন মোটা অংকের টাকা খেয়ে নিরব ভূমিকা পালন করেছেন। এখনো কুমিল্লার জেলা প্রশাসন একি ভূমিকা পালন করছেন ফোন করলেও ফোন উঠান না একি অভিযোগ স্থানীয় সাংবাদিকদের। সরজমিনে অসুসন্ধানে জানা যায় যে পুকুরটি ভরাটের সময় ইউএনও নাটকিয় অভিযান দিয়ে ভরাটের কার্যক্রম বন্ধ করলেও পুকুরে ফেলা মাটি গুলি অপসারণ করেনি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মাটি ফেলালনো টেন্ডার নেওয়া ব্যক্তিদের স্থানীয় সাংবাদিকেরা জানালেও ইউএনও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। উক্ত পুকুরটি চতুর্থ দফায় ভরাটের জন্য কুচক্র মহল চেষ্টা করলে স্থানীয় এলাকাবাসী বাধা প্রধান করেন পরে দুপক্ষে সংঘর্ষ সৃষ্টি হলে একজন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে উনাকে পাওয়া যায়নি।