দেশে আর্ন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভায় নির্বাচিত মেয়র সড়িয়ে পৌর প্রশাসক হিসেবে এসিল্যান্ডকে নিয়োগ দেয় সরকার। তবে, সম্প্রতি ২৯ এপ্রিল এসিল্যান্ড অন্যত্র বদলি হওয়ায় সেই দায়িত্বে রয়েছেন ইউএনও। এরপর বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার দুটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে মেয়র ও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা জানান দিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে নির্বাচনি প্রচারণায় সরব হয়ে উঠেছেন মুখ চেনা এসব নেতারা।
এরমধ্যে অন্যতম ক্লিক ইমেজ বিএনপির নেতা মো. তোহিদুর ইসলাম রেজা মাস্টার।
তিনি বতর্মানে মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বে রয়েছেন। দুর্দিনে এমন দায়িত্বের জায়গা থেকে সাংগঠনিক কাজ ছাড়াও কর্মী সমর্থক আর জনগণের আপদে বিপদে পাশে থেকে দলকে শক্তিশালী করেছেন তিনি। ফলে দলের ভিতরে ও বাইরে জনপ্রিয়তা বাড়ছে তাঁর। এজন্য আগামী দিনে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ঐক্যবব্ধ হয়ে হারানো পৌর পিতা ফিরে পেতে তাকে মেয়রপদে দেখতে চাই পৌরবাসি বলে জানান তার অনুসারী জসিমুদ্দিন, সাইফুল ইসলাম ও মেছের আলীসহ বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থক ছাড়াও সকল শ্রেণি পেশার মানুষ।
এই জনপ্রিয় নেতার বাড়ি মুন্ডুমালা সদরের সাদিপুর মহল্লায়। পিতার নাম মরহুম তৈয়ব আলী। মাতা মৃত নুরুন্নেসা বেগম। তিনি মুন্ডুমালা কামিল মাদ্রাসার সিনিয়র সহকারী শিক্ষক।
শিক্ষকতার পাশাপশি তিনি অনলাইন ব্যবসায় জড়িত। তিনি এমএসএস ডিগ্রিধারী। তার স্ত্রী ইয়াসমিন ইসলাম গৃহিণী। তারা তিন ভাই ও পাঁচ বোন। বড়ভাই অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মেজো ভাই মুন্ডুমালা পৌরসভার ফাউন্ডিং কাউন্সিলর। ভাইদের মধ্যে তৃতীয় তিনি। সামাজিক ভাবে সকল হিতৈষী সংগঠনের সাথে জড়িত। বিরাট নাম করা ঐতিহ্যবাহী বংশে জন্ম তার। ভাই বোনদের সবাই বিএনপির কর্মী সমর্থক।
বিএনপি নেতা রেজা মাস্টার বলেন, স্কুল জীবন থেকেই বিএনপির ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তিনি। ১৯৯০ সালে তৎকালিন সময়ে বাধাইড় ইউনিয়নে ১৭ সদস্য বিশিস্ট ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে পথচলা শুরু তার।
এভাবে বাধাইড় ইউনিয়ন যুবদলের জয়েন্ট সেক্রেটারী ও পরে ২০০৩ সালে মুন্ডুমালা পৌর যুবদল গঠন করা হয়। দলের প্রতি তার কর্মতৎপরতা ও ভালোবাসা লক্ষ্য করে তৎকালিন সময়ের জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মুন্ডুমালা পৌরসভার সাবেক মেয়র মরহুম শীশ মোহাম্মদ তাকে সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ পাইয়ে দেন। পরে ২০১৯ সালে মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদে থেকে মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন তিনি। মূলত শীশ মোহাম্মদের আর্শিবাদে রাজনীতিতে এতো দূর পথচলা তার।
এরআগে ২০০৭/২০০৮ সালে মুন্ডুমালা পৌর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বিগত আ.লীগ সরকার আমলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তার বিরুদ্ধে ৭টি মামলার মধ্যে দুটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। একারণে তিনি দীর্ঘদিন হাজত বাস করেন। এছাড়াও ২০১৮ সালে অন্যায় ভাবে তার বেতনভাতা বন্ধ রাখা হয়। বর্তমানে বেশ কয়েকটি মামলায় কোর্টে হাজিরা দিতে হয় তাকে বলে জানান এই নেতা। আগামীতে মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেয়া হলে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে মেয়রপদ তানোর-গোদাগাড়ীর বিএনপির নীতি নির্ধারক মেজর জেনারেল (অব.) শরিফ উদ্দিন ও হাইকমান্ডকে উপহার দিতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।
এব্যাপারে মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির ক্লিক ইমেজ নেতা অধ্যাপক নূরুল ইসলাম বলেন, আগামীতে মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি থেকে রেজা মাস্টারকে মনোনয়ন দেয়া হলে দলকে মেয়রপদ উপহার দেয়া সম্ভব বলে তিনি আশাবাদী। কারণ অন্যদের চেয়ে রেজা মাস্টারের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। বিএনপির দুর্দিনে এই মাস্টার দলকে কৌশলগত ভাবে শক্তিশালী করতে কাজ করেছেন, এখনো করে যাচ্ছেন। রেজা মাস্টারকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়া হলে হারানো মেয়রপদ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তাই আমরা তার পাশে থেকে দল গোছানো কাজ করছি বলে জানান তিনি। ই/তা