জালিয়াতির মামলায়

গণি কলেজের সভাপতি অধ্যক্ষ শিক্ষক প্রতিনিধিকে জেল হাজতে প্রেরণ

আমানুল হক আমান; বাঘা, রাজশাহী | প্রকাশ: ১০ জুলাই, ২০২৫, ০৫:০২ পিএম
গণি কলেজের সভাপতি অধ্যক্ষ শিক্ষক প্রতিনিধিকে জেল হাজতে প্রেরণ
রাজশাহী বাঘা উপজেলার আব্দুল গণি কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি, অধ্যক্ষ ও শিক্ষক প্রতিনিধির বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা দায়ের করা হয়। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এই মামলায় জামিন নিতে গেলে রাজশাহীর একটি আদালতে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। জানা গেছে, আব্দুল গণি কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি শাহিনুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম ও শিক্ষক প্রতিনিধি আসলাম হোসেনকে অভিযুক্ত করে গত ৮ মে জাহাঙ্গীর হোসেন বাদি হয়ে বাঘা থানায় জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় বৃহস্পতিবার জামিন নিতে গেলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল গণি কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি স্বাক্ষরিত গত ১৬ মার্চ মানবজমিন, জাতীয় অর্থনীতি এবং দৈনিক রাজশাহী পত্রিকায় ১০টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদনের শেষ তারিখ দেখানো হয় ৩০ মার্চ। পরবর্তীতে ৩য় ও ৪র্থ গ্রেডে ৭টি পদে ২১ জন প্রার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষতে চূড়ান্ত মনোনয়নের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা প্রশাসক এবং ডিজির প্রতিনিধির জন্য আবেদন করা হয় ২৭ এপ্রিল। পরে ওই এলাকার সেচ্ছাসেবী সংগঠন স্কুল ফর হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের সদস্যরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, মানবজমিন পত্রিকায় গত চলতি বছরের ১৬ মার্চ আব্দুল গণি কলেজের কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপানো হয়নি, ওই তারিখে মানবজমিন পত্রিকার ২২ নম্বর পৃষ্ঠায় নেত্রকোনার যুগ্ম জেলা জজ ও অর্থঋণ আদালতের নিলাম বিজ্ঞপ্তির স্থানে টেম্পারিং করে কলেজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপানো হয়। এছাড়াও জাতীয় অর্থনীতি ও দৈনিক রাজশাহী পত্রিকায় ১৬ মার্চ আব্দুল গণি কলেজের নিয়োগের কোনো বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়। স্কুল ফর হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. রুবেল আহমেদ, সহসভাপতি সোহানুল ইসলাম মিঠুসহ কয়েকজন মিলে এই অবৈধ নিয়োগ বন্ধে সহকারী জজ আদালত, বাঘাতে ৩০/২৫ অ: প্র: সিভিল মামলা দায়ের করে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে বিবাদী পক্ষকে শোকজের আদেশ দেন আদালত। এ দিকে টেম্পারিং করে জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যর অভিযোগে আব্দুল গনি কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি সাহিনুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আলম ও শিক্ষক প্রতিনিধি আলমাস হোসেনের বিরুদ্ধে বাঘা থানায় ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আফম আছাদুজ্জামান বলেন ‘এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুনেছি আসামীরা জামিন নিতে গেলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করেছেন।’ স্কুল ফর হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি সোহানুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘জুলাই আগষ্ট বিপ্লবের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কোথায় কোনো প্রকার অন্যায়, অবিচার ঘুস দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না। তাই জালিয়াতি ও অবৈধ নিয়োগ বন্ধে ফাউন্ডেশনের পক্ষে আরেকটি মামলায় বাদী হয়েছি।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, আবদুল গণি কলেজের গর্ভনিং বডির বিষয়ে অবগত রয়েছি।