মুলাদীতে এসএসসি পরীক্ষায় ৪ বিদ্যালয়ে উত্তীর্ণ ৫

এফএনএস (মোঃ আরিফুল হক তারেক; মুলাদী, বরিশাল) : | প্রকাশ: ১০ জুলাই, ২০২৫, ০৭:০৪ পিএম
মুলাদীতে এসএসসি পরীক্ষায় ৪ বিদ্যালয়ে উত্তীর্ণ ৫

বরিশালের মুলাদীতে এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। উপজেলার ৪ বিদ্যালয়ে পাস করেছে মাত্র ৫ শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ভিত্তিতে এই তথ্য জানায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। উপজেলার মুলাদী পৌরসভার শহীদ আলতাফ মাহমুদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৬ জনে ১জন, বাটামারা ইউনিয়নের চিঠিরচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১১ জনে ১জন, মুলাদী সদর ইউনিয়নের চরলক্ষ্ণীপুর বজায়শুলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০জনে ১জন এবং নাজিরপুর ইউনিয়নের আজাহার উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৫জনে ২জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা না করায় এবং নকল মুক্ত পরীক্ষা পদ্ধতি ও সঠিকভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করায় ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে বলে দাবি করেছেন এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানা যায়, মুলাদী পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডে শহীদ আলতাফ মাহমুদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৬জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। ওই বিদ্যালয় থেকে এবছর মানবিক বিভাগে ১৩জন ও বিজ্ঞান বিভাগে ৩জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে মানবিক বিভাগে কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি, বিজ্ঞান বিভাগে ১জন শিক্ষার্থী পাস করেছেন।

উপজেলার মুলাদী সদর ইউনিয়নে চরলক্ষ্ণীপুর বজায়শুলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ১১জন। ওই বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ১জন, মানবিক বিভাগে ১৮ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেননি। 

বাটামারা ইউনিয়নের চিঠিরচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ৬ জন। ওই বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে ১০জন ও বিজ্ঞান বিভাগে ১জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এদের মধ্যে মানবিক বিভাগে কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেননি।

নাজিরপুর ইউনিয়নের আজাহার উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। ওই বিদ্যালয়ে এবছর ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১২ ও মানবিক বিভাগে ১৩জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে কেউ পাস করতে পারেননি, মানবিক বিভাগে ২জন শিক্ষার্থী পাস করেছেন।

শহীদ আলতাফ মাহমুদ মাধ্যমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোর্শেদ আলম বলেন, শিক্ষকেরা বিদ্যালয়ে পাঠদানের বিষয়ে আন্তরিক। কিন্তু শিক্ষার্থীরা শিক্ষক কিংবা অভিভাবকদের কথা শোনো না এবং পড়ালেখা করেনা। এছাড়া এবছর উপজেলা নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা হয়েছে এবং সঠিকভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া না করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায় ফলাফল খারাপ করে থাকতে পারেন। ফলাফল বিপর্যয় বিদ্যালয়গুলোতে বাড়তি তদারকীর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে