মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টির তীব্র নিন্দা ও শাস্তির দাবি

রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে একজন ব্যবসায়ীকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ ও শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি। দলটি এ হত্যাকাণ্ডের দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টির আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আমীন ও সদস্যসচিব ফাতিমা তাসনিম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, চকবাজারের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে তারা গভীরভাবে মর্মাহত, ক্ষুব্ধ এবং শোকাহত। তারা জানান, শুধু একজন ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনা নয়, এটি মানবতা, আইন, ন্যায়বিচার ও রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলার ওপর ভয়াবহ আঘাত।

তাদের ভাষায়, ‘জনসমক্ষে প্রকাশ্য দিবালোকে একজন মানুষকে এমনভাবে হত্যা করা শুধু নৃশংসতাই নয়, এটি সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তিকে নাড়িয়ে দিয়েছে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তিকে হেয় করেছে। এই ঘটনা স্পষ্ট করে দিয়েছে, দেশের নাগরিক নিরাপত্তা ও আইনের শাসন আজ চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ।’

দলটির বিবৃতিতে বলা হয়, ৯ জুলাই বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে চাঁদা না দেওয়ার কারণে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে যুবদলের নেতাকর্মীরা পিটিয়ে, উপর্যুপরি আঘাত করে এবং ইট-পাথর দিয়ে মাথা ও শরীর থেঁতলে হত্যা করে। হত্যার পর নিহতের নিথর দেহের সামনে ঘাতকরা যে উল্লাস প্রকাশ করে, সেটি সভ্য সমাজে কল্পনাতীত এবং সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এমন দৃশ্য আদিম বর্বরতাকেও হার মানায় বলে মন্তব্য করেছেন নেতৃদ্বয়।

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘এটি এক ভয়াবহ সামাজিক বিপর্যয়ের বার্তা, যেখানে অপরাধীরা মনে করছে তারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এমন বার্তা রাষ্ট্র ও সমাজ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না। আমরা এই পাশবিক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং জোরালোভাবে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ঘাতক ও তাদের মদদদাতাদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। আমরা চাই, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক, যেন ভবিষ্যতে আর কোনো ঘাতক এমন জঘন্য কাজ করার সাহস না পায়।’

বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি মনে করছে, দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় এমন ঘটনা বারবার ঘটতে থাকবে, যা গোটা রাষ্ট্রের জন্য চরম অশনি সংকেত।