বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রোববার সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বললেন, “এনবিআর নামটি আর থাকবে না। কারণ, এই নামটা শুনলে সবাই লম্বা একটা হাসি দেয়। এটির কারণ সবাই জানে। এনবিআরের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের ব্যবস্থা গ্রহণ সরকারে চাপে কারনে নয়। তারা দুদককে মোকাবেলা করুক। তাছাড়া, দুদকতো দায়মুক্তি দেয়ার জন্য পরিচিত।”
এনবিআর চাইলেই কাজ বন্ধ করে দিতে পারে না কাজ। বন্দরকে জিম্মি করতে পারে না। এ সময় অর্থনীতি ও সরকারকে জিম্মি করা যাবে না বলেও বক্তব্যে যোগ করেন।
বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের সাথে দ্বন্দ্বের সমস্যার কারণে সমস্যা তৈরি হয়। তবে এখন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ভেঙে দুই বিভাগ করার ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের আপত্তি নেই।”
উপদেষ্টা ফাওজুল কবীর খান বলেন, “এনবিআর অধ্যাদেশে ত্রুটি রয়েছে। অধ্যাদেশে উপযুক্ত যোগ্য ব্যক্তি ও রাজস্ব আদায়ের যোগ্যতা সুনির্দিষ্ট করা হয়নি। বিষয়গুলো সংশোধন করা হবে। রাজস্ব নীতি ও বাস্তবায়ন বিভাগে শুধু ট্যাক্স ও কাস্টমসের কর্মকর্তারা থাকবে এমন দাবি অযৌক্তিক। আবার সেখানে প্রশাসন ক্যাডারের খবরদারিও মানা হবে না। এক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা হবে।”
সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়োগে নীতিমালা করা হবে বলেও জানান এ উপদেষ্টা।
‘বিশ্বব্যাংক যে তথ্য দিয়েছে তা ছয় মাস আগের তথ্য। সংস্থাটি মন্দা ও ব্যাংক খেলাপির কথা বলেছে, কিন্তু এখন অর্থনীতিতে এর উল্টো চিত্র। দেশের অর্থনীতি এখন পিক আপে রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি ও ডলারের দাম কমেছে’-উল্লেখ করেন এ উপদেষ্টা।