মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যাকাণ্ড নিয়ে আনসারের দায় অস্বীকার ডিজির

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ১৩ জুলাই, ২০২৫, ০৬:৫৩ পিএম
মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যাকাণ্ড নিয়ে আনসারের দায় অস্বীকার ডিজির

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আনসার সদস্যদের দায়িত্বে কোনো অবহেলা ছিল না বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। রোববার (১৩ জুলাই) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশিত শিডিউল অনুযায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের সময় সেখানে কোনো আনসার সদস্য দায়িত্বে ছিলেন না।

ডিজি মেজর জেনারেল সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, মিটফোর্ড হাসপাতালে নিরাপত্তা নিশ্চিতে মোট ৮০ জন আনসার সদস্য কর্মরত থাকলেও সাপ্তাহিক ছুটি এবং শিফট অনুযায়ী প্রতি শিফটে সর্বোচ্চ ৩০ জন করে সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। দুপুর ২টার আগে গেট এবং হাসপাতাল ভবনের ভেতরে আনসার সদস্যরা দায়িত্বে থাকলেও দুপুর ২টার পর গেটে আর কোনো আনসার সদস্য অবস্থান করেন না। ফলে ওই সময় সেখানে কোনো আনসার সদস্য না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগের কোনো সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, কোন আনসার সদস্য কখন, কোথায় দায়িত্ব পালন করবেন, তা পুরোপুরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই নির্ধারণ করে। তাই সোহাগ হত্যাকাণ্ডে আনসার বাহিনীর দায় নেই।

আনসারের ডিজি আক্ষেপ করে বলেন, শত শত মানুষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সেই হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করলেও বা ভিডিও ধারণ করলেও কেউ নিকটস্থ আনসার ক্যাম্পে গিয়ে খবর দেয়নি। এমনকি মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেট এলাকায় কোনো সিসি ক্যামেরা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে খুন হন ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯)। এ ঘটনায় ভাঙারি ব্যবসা এবং দোকান পরিচালনা নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয় উঠে এসেছে তদন্তে। লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানান, সোহাগ এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা একসময় একসঙ্গে ব্যবসা করতেন। পরবর্তীতে লেনদেনের জেরে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়, যা শেষ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে রূপ নেয়।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার এজাহারে ১৯ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে