ভারতে পাচারের প্রস্তাব প্রত্যাখান এবং জমি লিখে দিতে রাজি না হওয়ায় স্বামীর বেদম প্রহারে গৃহবধু হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে দাকোপের খেজুরিয়া এলাকায়।
ভুক্তভোগীদের সুত্রে জানা যায়, উত্তর বানীশান্তা খেজুরিয়া এলাকার কামাল মিয়া গত ১৫ বছর পূর্বে উত্তর বানীশান্তা গ্রামের মৃঃ আমির হোসেন গাজীর কন্যা নাজমা বেগমকে বিয়ে করে। বিয়ের পর কামাল তার স্ত্রীকে নিয়ে দু’দফা ৫ বছর ভারতের বেঙ্গলোরে থাকে। সেখানে স্ত্রীকে দিয়ে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড করায়। সর্ব শেষ গত ২ মাস আগে তারা স্বামী স্ত্রী দেশে ফেরে। সম্প্রতি সে আবারো ভারতে যাওয়ার জন্য স্ত্রীকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১২ জুলাই শনিবার রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে স্ত্রীর নামে থাকা ২ বিঘা জমি নিজ নামে লিখে নেওয়া এবং ভারতে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। স্বামীর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নাজমা বেগমকে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করে। এক পর্যায়ে গুরুত্বর আহত হয়ে পড়লে নাজমার ভাই নুর আলম কাজী তাকে উদ্ধার করে দাকোপ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। তার চোখের কোনে গুরুত্বর জখমসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। জানা গেছে তাদের একটি পুত্র সন্তান আছে। স্বামী কামালের স্থায়ী ঠিকানা মোংলার সেলাবুনিয়া গ্রাম। তার পিতার নাম শহিদ মিয়া। এ ঘটনায় নাজমার ভাই নুর আলম বাদী হয়ে আদালতে নারী নির্যাতন মামলা দায়েরের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছে।