তেল মারার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন: আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ১৪ জুলাই, ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম
তেল মারার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন: আমীর খসরু

রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে মৌলিক পরিবর্তন না এলে দেশে যতোই সংস্কার করা হোক, তা সার্থক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘তেল মারার সংস্কৃতির বাইরে না এলে কোনো উন্নতি সম্ভব নয়।’

সোমবার (১৪ জুলাই) পল্টনস্থ ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) অডিটোরিয়ামে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট পুনর্গঠন ও বাস্তবতা’ শীর্ষক কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু এসব কথা বলেন। কর্মশালাটি ইআরএফ ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) যৌথভাবে আয়োজন করে।

নির্বাচনের সময় এখনো অনেক বাকি থাকলেও অনুষ্ঠানে কিছু বক্তা আমীর খসরুকে ভবিষ্যৎ অর্থমন্ত্রী হিসেবে আখ্যায়িত করেন, যার কোনো প্রতিক্রিয়া তিনি দেননি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাজনৈতিক নিয়োগ থেকে শুরু করে তেল মারার সংস্কৃতি থেকে বের না হলে হাজারো সংস্কার করেও কোনো লাভ হবে না। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের শেয়ারবাজারকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থায় রাজনৈতিক নিয়োগ দেওয়া হবে না।

আমীর খসরু বলেন, ‘বিএনপি সরকারে থাকা অবস্থায় এসব সংস্থায় রাজনৈতিক নিয়োগ না দেয়ার কারণে ব্যাংক ও পুঁজিবাজারে বড় ধরনের লুটপাট হয়নি। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখা হবে।’ তিনি আরও বলেন, দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করা প্রয়োজন, কারণ শুধুমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে আনার ছোট ছোট উদ্যোগ নিয়েই এই খাতের সংকট কাটানো যাবে না।

তিনি উল্লেখ করেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে মানুষের অংশগ্রহণ বাড়াতে রাজনীতির মতো অর্থনীতিকেও গণতান্ত্রিক করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের অর্থের উৎস পুঁজিবাজার হওয়া প্রয়োজন, যা অনুপস্থিত থাকায় ব্যাংক ও পুঁজিবাজার উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাজারে প্রতিদিনের হস্তক্ষেপ বন্ধ করে নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে।

কর্মশালায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মো. মমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান, ডিবিএ-এর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলামসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ প্রেসিডেন্ট দৌলত আকতার মালা।

বক্তারা আরও বলেন, গত পনেরো বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের যথাযথ সুরক্ষা দেওয়া হয়নি, যার ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা না করলে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা এবং টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে না।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে