ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা করতে হাইকোর্টের রুল জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ১৪ জুলাই, ২০২৫, ০৫:১১ পিএম
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা করতে হাইকোর্টের রুল জারি

দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে জাতীয় সংস্কারের জন্য নিদর্শন হিসেবে যাঁর অবদান স্বীকৃত, Nobel জয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ হিসেবে ঘোষণা না করার কারণ জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছে। একইসঙ্গে ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহিদ হওয়া আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, ওয়াসিম আকরামসহ অন্য শহিদদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা ও তাঁদের প্রকৃত ও নির্ভরযোগ্য তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৪ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর এ রুল দেন। এতে জনপ্রশাসন সচিব, প্রতিরক্ষা সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, তথ্য সচিব ও অর্থ সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে এবং আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আইনজীবী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ রিটের পক্ষে শুনানি করেন এবং রুল জারির পর তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশের হাল ধরার জন্য সাহস করে এগিয়ে এসেছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ক্ষমতায় আসার পর তিনি দেশকে পুনর্গঠন করে নতুন রাষ্ট্র গঠনে সংস্কারের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কমিশন গঠন ও কার্যক্রম শুরু করেছেন, যা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও জাতীয় সংস্কারের জন্য যুগান্তকারী।’

তাঁর এসব কার্যক্রম দেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রশংসা অর্জন করেছে, যেখানে ব্যতিক্রম মাত্র একটি রাজনৈতিক দলের রয়েছে। সেই কারণে রিটে তাঁকে জাতীয় সংস্কারক হিসেবে ঘোষণা করার দাবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে যারা গত বছরের জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনে শহিদ হয়েছেন, তাঁদের যথাযথ শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানিয়েছে রিটকারীরা।

এ প্রসঙ্গে আদালত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা ও আইনগত অবস্থান চেয়েছে।

রিটকারীর পক্ষে আরও বলা হয়, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বিভিন্ন সংস্কার উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে দেশের বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ নানা ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে। তাই তাঁকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণার পাশাপাশি অভ্যুত্থানের শহিদদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা করে তাঁদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।

সরকারের পক্ষ থেকে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।

এই রুল জারি হওয়া মামলাটি চলমান রয়েছে এবং আগামী নির্ধারিত সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় জবাব পেশ করতে হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে