শৈলকুপায় টানা বৃষ্টিতে কাঁচা রাস্তাগুলোর বেহাল দশা

এফএনএস (মফিজুল ইসলাম; শৈলকুপা, ঝিনাইদহ) : | প্রকাশ: ১৫ জুলাই, ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম
শৈলকুপায় টানা বৃষ্টিতে কাঁচা রাস্তাগুলোর বেহাল দশা

ঝিনাইদহের শৈলকূপা  উপজেলায়  বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই গ্রামীণ কাচা রাস্তাগুলোর বেহাল দশা সৃষ্টি হয়। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে উপজেলার গ্রাম অঞ্চলের  অধিকাংশ গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা পানি জমে  হাঁটু পর্যন্ত পর্যন্ত কাদা পানির সৃষ্টি হয়েছে।  আর এতে করে এসব আধাঁ কাচা রাস্তার জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।   সাধারণ মানুষ বলছে এসব দুর্ভোগের চিত্র যেন দেখার কেউ নেই!

শৈলকূপা  উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি  পৌরসভা নিয়ে গঠিত। পৌর এলাকার  প্রতিটি  ওয়ার্ডের কয়েকটি রাস্তা ইতিমধ্যে যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকাই রাস্তায় হাঁটু পর্যন্ত কাদা পানি জমে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এদিকে উপজেলার ৮নং ধলহরাচন্দ্র, ৯নং বগুড়া,১১ নং আবাইপুর, ৯নংমনোহরপুর,৩নংদিগনগর,সহ ১৪ টি ইউনিয়নের  কাচা পাকা অধিকাংশ রাস্তা অতি বৃষ্টির ফলে  ভেঙ্গে পড়া শুরু হয়েছে। এ ভেঙ্গে পড়ার মূল কারন হচ্ছে খাল বিল ও পুকুর পাড় ঘেঁষে রাস্তার দুই পাশে মাটি না থাকার কারন। অনেক রাস্তা বছরের পর বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় অস্তিত্ব নিয়ে টান দিয়েছে।

উপজেলা জুড়ে এসব বেহাল রাস্তাগুলো দিয়ে চলাচলরত যাত্রীসাধারনের অভিযোগ, কবে নাগাদ কিভাবে কাজ হয়েছে অনেকে তা মনে করতে পারছে না। যেসকল ঠিকাদার কাজ করেছে বেশীভাগ কাজে অনিয়ম হয়েছে। যে কারনে পাকা রাস্তাগুলোর কার্ফেট উঠে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

তাছাড়া গ্রামীণ রাস্তাগুলোতে ভারী যানবাহন চলাচল করায় ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। আর এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে কাদায় পরিনত হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এদিকে স্থানীয় চেয়ারম্যান কিংবা উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ রাস্তা সংস্কারে তেমন গুরুত্ব না দেওয়ায় গ্রামের সাধারণ মানুষের বিষন্নতা দিন দিন বেড়েছে। এর কারণ হচ্ছে এসব রাস্তা দিয়ে সিএনজি বা অটো রিক্সা চলাচল করতে চায় না। গেলেও অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে এসব ভূক্তভোগী যাত্রীসাধারনের। আওধা গ্রামের পল্লি চিকিৎসক  পলাশ কুমার জানান, আমাদের গ্রামের মধ্যে রাস্তার যে অবস্থা তাতে হেঁটেও যাওয়া যায় না। চাষিরা তাদের মালামাল হাট বাজারে বিক্রি করতে নিতে গেলে ২০টাকার ভাড়া ১শ টাকা গুনতে হচ্ছে। 

ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের ধলহরাচন্দ্র প্রাইমারী স্কুল থেকে হাঁটুভাঙা হয়ে বরিয়া  মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার এই মেইন কাঁচা  রাস্তা  দিয়ে চলাচলরত  মানিক মিয়া, আ. কালাম, কলেজ ছাত্রী দীপ্তি বলেন, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। রাস্তায় বড় বড় গর্ত। হাটতে খুব কষ্ট হয়। অটোরিকশা চলাচলে কোন উপযোগি নেই। এভাবে হেটে গন্তব্য স্থানে যেতে হয়। গায়ের জামা কাপড়ে মাটির কাদা লেগে যায়। আমাদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। বর্ষা মৌসুমে সামসুমে  শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। তাই আমরা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি দ্রুত রাস্তাটি পাকা করার জন্য।  এ ব্যাপারে ধলহরা চন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল  চেয়ারম্যান  বুলবুলি বেগম বলেন, আমার ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি কাচা রাস্তা যার অধিকাংশ রাস্তার কোড উপজেলা পৌকশলী বিভাগে রয়েছে। সামনে বরাদ্দ আসলে  এসব রাস্তায়  কাজ করা হবে। 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ হেল আল  মাসুম বলেন, গ্রামীণঅনেক  রাস্তাগুলো মেকাডমের কাজ করা হয়েছে পর্যায়ক্রমে সব রাস্তায় করা হবে।   বর্তমান বর্ষার সময় কোন বরাদ্দ থাকে না।

শৈলকূপা  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস  বলেন, বর্ষার সময়ে গ্রামের কাঁচা রাস্তা গুলো চলাচল করতে অসুবিধা হয় সত্য। অনেক রাস্তায় পাকা করনের কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে সবগুলো কাঁচা রাস্তা পাকা হবে।  সে পর্যন্ত সবাইকে একটু কষ্ট করে চলাফেরা করতে হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে