৪৩ হাজার পৃষ্ঠার নথি জমা দিয়েও ‘বাছাইয়ে ফেল’ এনসিপি

রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে ৪৩ হাজার পৃষ্ঠার আবেদন করেও প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ফলে এনসিপিসহ দলগুলোকে ১৫ দিন সময় দিয়ে ঘাটতি পূরণে চিঠি দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এনসিপি নিবন্ধনের জন্য ৪৩ হাজার ৩১৬ পাতার ডকুমেন্টস জমা দিয়েছিল।

মঙ্গলবার ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ এমন তথ্য জানিয়ে বললেন, “প্রথম ধাপে ৬২টি দলকে চিঠি দেওয়া হবে। পরবর্তী ধাপে অন্যান্য দলগুলোকেও চিঠি দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ১৫ দিন সময়ের মধ্যে যেসব ত্রুটিবিচ্যুতি আছে, তা পূরণ করতে হবে।”

নিবন্ধনের আবেদন জমা দেওয়ার সময় নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর সঙ্গে ছিলেন দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।

নতুন দলের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ইসির শর্ত

১. দলটির একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকতে হবে।

২. কার্যকর কমিটি থাকতে হবে কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায়।

৩. সদস্য হিসেবে অন্তত ১০০টি উপজেলা কিংবা মেট্রোপলিটন থানার কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থনের নথি দেখাতে হবে।

৪. দলীয় প্যাডে দরখাস্তের সঙ্গে দলের গঠনতন্ত্র, নির্বাচনী ইশতেহার (যদি থাকে), দলের বিধিমালা (যদি থাকে), দলের লোগো ও দলীয় পতাকার ছবি, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সব সদস্যের নামের তালিকা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সর্বশেষ স্থিতি জমা দিতে হবে।

আবেদন পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন তা যাচাই-বাছাই শুরু করবে। নিবন্ধন শর্ত পূরণ করতে পারলে দলীয় প্রতীকসহ নিবন্ধন সনদ দেবে। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০টি।