শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহন দায়ে ৫ ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে এই দন্ডাদেশ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ জাবের আহমেদ।
৩০ দিন কারাদন্ড প্রাপ্তরা হলেন- মোঃ টুটুল হাওলাদার (৪৮), শ্রী দিলীপ চন্দ্র ঘোষ (৫০), মোঃ শাহিনুর রহমান শাহিন (৩৩)। অপরদিকে ৩দিন কারাদন্ড প্রাপ্তরা হলেন- মোঃ ইয়াসিন (২৫) ও মোঃ বাবুল মিয়া (৪৫)।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ইতিপূর্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের বিরুদ্ধে বার বার অভিযান পরিচালনা করে জেল জরিমানা সহ নানা পদক্ষেপ গ্রহন করা সত্বেও বালু খেকোদের থামানো যাচ্ছেনা। এরই জেরে বৃহস্পতিবার রাত ৩ টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহন বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় ৫ ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করে। পরে বালু ব্যবস্থাপনা আইনে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৮ এপ্রিল শেরপুর জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ধারা ৯ (৪) অনুযায়ী ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা সকল বালুমহাল বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়। এরপরেও প্রভাবশালী কয়েকটি সিন্ডিকেট রাতের আঁধারে উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী, খাল, ছড়া ও গারো পাহারের বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের চেষ্টা চালিয়ে আসছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ বলেন, আমাদের পরিচালিত অভিযানে বালু উত্তোলন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সরকারি সম্পদ রক্ষার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা ও শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের বন্ধ করা না হলে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।