গতকাল শুক্রবার দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে নেপালের সিনেমা ‘মিসিং: কেটি হারায়েকো সূচনা’। প্রথমবার বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে নেপালের সিনেমা মুক্তি পাওয়ায় বেশ উচ্ছ্বসিত সিনেমার নায়ক নাজির হুসেন। সিনেমাটির প্রিমিয়ার শোতে অংশ নিতে বাংলাদেশ সফর করেন এ অভিনেতা। স্টার সিনেপ্লেক্সের বিভিন্ন শাখায় সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্টার সিনেপ্লেক্সের সেন্টার পয়েন্ট শাখায় সিনেমাটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রিমিয়ার শোতে উপস্থিত ছিলেন সিনেমার নায়ক নাজির হুসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন সিনেমাটির নির্মাতা দীপেন্দ্র গাউছানসহ কলাকুশলীরা। বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত মান্যবর ঘনশ্যাম ভাণ্ডারীও এ সিনেমার প্রিমিয়ার শোতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সিনেমাটি দেখতে উপস্থিত হন বাংলাদেশে অধ্যয়নরত একঝাঁক নেপালি শিক্ষার্থী। সংবাদমাধ্যমে ‘মিসিং: কেটি হারায়েকো সূচনা’র নায়ক নাজির হুসেন কথা বলার আগে নেপালের ভাইরাল গান ‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননি ছিঃ’ গেয়ে শুনান ভক্তদের। এরপর বলেন, ‘একটি মেয়ে হারিয়ে গেছে। কেন, কীভাবে, কখন এটা হলো তার সব উত্তর জানতে পারবেন এ সিনেমাটা দেখলে।’ নাজির হুসেন আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশের ঢাকায় আসতে পেরে আমি খুব খুশি। ছুটির দিন শুক্রবার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে ‘মিসিং: কেটি হারায়েকো সূচনা’। এটাই বাংলাদেশে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম নেপালের সিনেমা। যে কারণে আমি অনেক বেশি খুশি।’’ সবশেষে এ অভিনেতা বলেন, ‘কয়েক মাস আগেই সিনেমাটি নেপালে মুক্তি পেয়েছে। সংস্কৃতির দিক থেকে এ সিনেমাটি অনেক শক্তিশালী। দীপেন্দ্র গাউছান অনেক সুন্দর করে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন। আশা করি, দর্শকদের সিনেমাটি পছন্দ হবে।’ নেপালের সিনেমা ‘মিসিং: কেটি হারায়েকো সূচনা’য় প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্রিষ্টি শ্রেষ্ঠা ও নাজির হুসেন। ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের এ নেপালি ভাষার সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে লোকজ সংস্কৃতি ও ভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রেমের গল্প নিয়ে। ছবির কাহিনি আবর্তিত হয়েছে দুই চরিত্রকে ঘিরে। একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় হয় তাদের। এরপর এক ক্যাফেতে হয় প্রথম দেখা হয়। অনিচ্ছাকৃত ঘটনায় সেখান থেকে কফিতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মেয়েকে অপহরণ করে ছেলেটি। সেখান থেকেই শুরু হয় অপহরণের ‘ভুল-বোঝাবুঝির’ যাত্রা। মেয়েকে পাহাড়ি অঞ্চল থেকে অপহরণ করে মধেশের সমতলভূমিতে নিয়ে যান ছেলেটি। মেয়েটি প্রথমে ভয় পেলেও ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব জন্ম নেয়। ছেলেটি তাকে নেপালের মধেশের সুন্দর জায়গাগুলো দেখান। মেয়েটি সেখানকার মানুষ আর সংস্কৃতি ভালোবাসতে শুরু করেন। ভিন্ন সম্প্রপ্রদায়ের হলেও দুজন ভালোবাসায় বন্ধনে আবদ্ধ হন। সিনেমাটিতে নেপালের তরাই অঞ্চলের পাহাড়ি এলাকা মধেশের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও মানুষের জীবনধারা তুলে ধরা হয়েছে।