৪০ পেরিয়ে ৪১ বছর ধরে একটানা বিএনপির রাজনীতির সাথে নিজেকে জড়িয়ে রাখা রাজপথের সম্মুখযোদ্ধা বদিউজ্জামান মিন্টুর প্রধান শক্তি তৃণমূল পর্যায়ের কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের ভালবাসা। এ কারণেই বিগত পতিত সরকারের ১৭ বছরসহ রাজনৈতিক জীবনে তার (মিন্টু) বিরুদ্ধে ১৫০টি মামলা দায়ের করা হয়েছিলো। ওইসব মামলায় অসংখ্যবার কারাবরণ এবং হত্যার উদ্দেশ্যে সাতবার হামলার শিকার হয়েও বদিউজ্জামান মিন্টুকে রাজনৈতিক মাঠে দমিয়ে রাখা যায়নি। বর্তমানে তিনি (বদিউজ্জামান মিন্টু) বরিশাল জেলার প্রবেশদ্বার গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, পতিত সরকারের বিগত ১৭ বছরে হামলা-মামলা ও শত অত্যাচারের পরেও বদিউজ্জামান মিন্টু রাজপথে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে বলিষ্ট ভূমিকা পালন করেছেন। রাজপথ থেকে হটিয়ে দিতে তৎকালীন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে বদিউজ্জামান মিন্টুকে হেলমেট পড়িয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। তারপরেও তিনি (মিন্টু) থেমে থাকেননি। দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়েই আবার ফিরে গেছেন রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে। সময়ের সাথে সাথে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে একজন কর্মী বান্ধব নেতা হিসেবে বদিউজ্জামান মিন্টু ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বদিউজ্জামান মিন্টু রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তার বলিষ্ট নেতৃত্বের কারণে ১৯৮৭ সালে তিনি চাঁদশী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে সরকারি গৌরনদী কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক, ১৯৯২ সালে ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি (মিন্টু) গৌরনদীতে ছাত্র রাজনীতির জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসেন।
১৯৯৫ সালে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এবং ২০০০ সালে ছাত্রদল বরিশাল জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। দলের প্রতি আনুগত্য ও আর নীতির প্রশ্নে আপোষহীন বদিউজ্জামান মিন্টুকে ২০০৩ সালে যুবদলের গৌরনদী উপজেলা শাখার আহবায়ক ও ২০০৫ সালে উপজেলা যুবদলের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে যুবদলের রাজনীতিতে বরিশাল জেলাজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেন মিন্টু। যেকারণে ২০০৮ সালে তিনি বরিশাল জেলা উত্তর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
২০০৯ সালে উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক এবং একই বছর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওইবছরই (২০০৯ সালে) উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চারদলীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী ছিলেন বদিউজ্জামান মিন্টু। ২০১০ সালে তিনি বরিশাল জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক, ২০১৫ সালে গৌরনদী উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক, ২০২২ সালে বরিশাল জেলা বিএনপির আহবায়ক সদস্য এবং ২০২৩ সাল থেকে তিনি (মিন্টু) উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সূত্রে আরও জানা গেছে, স্কুল জীবনে ছাত্রনেতা থেকে পর্যায়ক্রমে নিজের মেধা, দক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও জনসম্পৃক্ততা আর নিষ্ঠার মাধ্যমে বদিউজ্জামান মিন্টু উপজেলা ও জেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সার্বিক বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক বদিউজ্জামান মিন্টু জনকণ্ঠকে বলেন, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে অদ্যবর্ধি বিএনপির একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে রাজপথে রয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমি রাজনীতি করি মানুষের জন্য, ক্ষমতার জন্য নয়। জনগন এবং কর্মীরাই আমার শক্তি। জীবনে যতোদিন বেঁচে থাকবো কর্মী-সমর্থকদের সাথে নিয়ে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পতাকাকে সমুন্নত রাখবো।