ভিজিটি কার্ডের হিস্যা নিয়ে

দিঘলিয়ায় চেয়ারম্যানের সাথে বিএনপি নেতাদের বিতন্ডা

এফএনএস (সৈয়দ জাহিদুজ্জামান; দিঘলিয়া, খুলনা) : | প্রকাশ: ২৩ জুলাই, ২০২৫, ০৬:১৬ পিএম
দিঘলিয়ায়  চেয়ারম্যানের সাথে বিএনপি নেতাদের বিতন্ডা

দিঘলিয়ায় হতদরিদ্র মহিলাদের কার্ড নিয়ে বাক বিতন্ডা ও গালাগালি পরে সদর ইউনিয়নের কর্মচারীদের জিম্মী করে জোর করে চাবি নিয়ে কম্পিউটার ডিক্স ও সিসি ক্যামেরা নিয়ে যায় পরে ইউএনও এর অনুরোধে সুবিদাভোগীদের নাম মুছে ডিক্স ও সিসি ক্যামেরা গভীর রাতে ফেরৎ দেয়। সরকারি দফতরে জোর করে কেউ ঢ়ুকলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার থানা পুলিশ ও নৌবাহিনী দিঘলিয়া কন্টিনজেন্ট কমান্ডারকে কিছুই জানানো হয়নি বলে জানা যায়।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, সারা দেশের ন্যায় সমাজের হতদরিদ্র মহিলাদের কার্ড (ভিজিটি) অন লাইনে আবেদন পর্ব শেষ করে যাচাই-বাছাই পালা কাজও শেষ করে ফেলেছ। সমপ্রতি দিঘলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জুয়েল বিশ্বাস চেয়ারম্যানের নিকট ৫২৩ টা কার্ডের সবগুলো দাবী করে। কিন্তু চেয়ারম্যান মোঃ হায়দার আলী মোড়ল তাদেরকে ৫০℅ কার্ড দেন। বাকি ৫০℅ কার্ড স্থানীয় ইউপি সদস্যদের বরাদ্দ দেন।

গত ২২ জুলাই ২০২৫ তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বিএনপি পন্থী দিঘলিয়া ইউনিয়ন সভাপতি, মোঃ জুয়েল বিশ্বাস, তৈয়ব মোল্লা, পিতাঃ সুবহান মোল্যা, মোঃ রানা, পিতাঃ আসলাম এবং মোঃ মেহেদী হোসেনসহ ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত গ্রাম প্রতিরক্ষা পুলিশ সোহেল ও মাজেদ কে ভয় প্রদর্শন পূর্বক চেয়ারম্যান এর রুম খুলে সিসিটিভি ক্যামেরা এর ডিভিআর, হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যায়।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জুলাই ২০২৫ তারিখ দুপুর পৌণে ৩ টায় উল্লেখিত ব্যক্তিগণসহ ১৫-২০ জন ব্যক্তি ইউনিয়ন পরিষদে আগমণ করে চেয়ারম্যান হায়দার মোড়ল এর কক্ষে প্রবেশ করে সরকারি ভিজিএফ এর কার্ড তাদের কাছে হস্তান্তর করতে বলে। এপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান কার্ডগুলো দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আগত ব্যক্তিবর্গ তাকে বিভিন্ন হুমকি এবং গালি-গালাজ করে। চেয়ারম্যান বলেন, আমি প্রাপ্ত ৫২৩ টি কার্ডের মধ্যে ৫০% কার্ড ২৬৫ টি আপনাদেরকে দিয়েছি। এখন অবশিষ্ট কার্ডগুলো ইউএনও স্যার এবং মেম্বারদের মাঝে বিতরণ করা হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় আমার আর কিছুই করার নেই। তখন ব্যক্তিগণ তাকে যেকোনোভাবে কার্ডগুলো সংগ্রহ করে দেওয়া অথবা এই তালিকা বাতিল করার আদেশ দিয়ে উপস্থিত ইউনিয়ন পরিষদের কর্মরত ব্যক্তিদের এই ঘটনা কাউকে না বলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

অতঃপর, বিষয়টি চেয়ারম্যান কর্তৃক উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হতে পারে এমন আশঙ্কায়, গতকাল তার রুম হতে উল্লেখিত সিকিউরিটি আইটেম সমূহ অবৈধভাবে খুলে নিয়ে চলে যায়।

ঘটনা পরবর্তী চেয়ারম্যান কর্তৃক ইউএনও মহোদয়কে অবগত করা হলে, ইউএনও কর্তৃক তাদেরকে উক্ত মালামালসমূহ ফেরত প্রদানের জন্য জানানো হয়। পরবর্তীতে, গত ২২ জুলাই ২০২৫ আনুমানিক রাত পৌণে ১১ টায় মালামাল সমূহ ফেরত দিয়ে চলে যায় বলে জানা যায়। 

উল্লেখ্য এ বিষয়ে ইউএনও কর্তৃক কোন প্রকার প্রশাসনিক/আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি এবং থানা এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ প্রদান করা হয়নি বলে জানা যায়।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে