উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যু: রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টা-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শোক

এফএনএস অনলাইন:
| আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম | প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৪:৫৩ এএম
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যু: রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টা-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শোক

অন্তর্বতী সরকারের ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহণ উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ভূমি উপদেষ্টার এমন মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস এছাড়াও এ উপদেষ্টার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) এবং প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বিকেলে দুবাই থেকে ঢাকায় অবতরণের পরপরই উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রয়াত উপদেষ্টাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিমানবন্দর থেকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ছুটে যান প্রধান উপদেষ্টা।

এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার আকস্মিক মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। উপদেষ্টা হাসান আরিফ একজন শীর্ষ আইনজীবী এবং তিনি অন্তর্র্বতী সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন।

রাষ্ট্রপতি তার শোকবার্তায় বলেন, হাসান আরিফের মৃত্যু বাংলাদেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। রাষ্ট্রপতি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শুক্রবার এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

এসময় সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো এক শোক বার্তায় এই জানানো হয়েছে উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সাবেক এই অ্যাটর্নি জেনারেল দীর্ঘদিন ধরে আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ২০০৮ সাল থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৪১ সালের ১০ জুলাই কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন হাসান আরিফ। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

১৯৬৭ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এরপর ঢাকায় এসে বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন। ১৯৭০ সালে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে