শেরপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রদলের দুই নেতা আটক

এফএনএস (শাকিল আহমেদ শাহরিয়ার; শেরপুর) : | প্রকাশ: ২৪ জুলাই, ২০২৫, ০৩:১৪ পিএম
শেরপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রদলের দুই নেতা আটক

চাঁদাবাজির অভিযোগ ও চাদাঁ না পেয়ে লছমনপুর ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেয়ার অভিযোগে শেরপুর সদরের লছমনপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সবুজ আহাম্মেদ (৩৫) ও বর্তমান সভাপতি আল আমিন ইসলাম সাগর (২৬) কে পুলিশে সোপর্দ করেছে ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতা-কর্মীরা। বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি বাজারস্থ লছমনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়।

আটক মো. সবুজ আহাম্মেদ লছমনপুর ইউনিয়নের বড় ঝাউয়েরচর এলাকার আলতাব হোসেনের ছেলে ও মো. আল আমিন ইসলাম সাগর কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন লছমনপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ।

স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, লছমনপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সবুজ আহাম্মেদ ও বর্তমান স্থগিতকৃত সভাপতি আল আমিন ইসলাম সাগর দলীয় কোন কর্মকান্ডে আসে না। তারা বিভিন্ন স্থানে দলের নাম করে চাদাঁবাজি করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে আসছে। তারা তদের কিছু অনুসারী নিয়ে ২৩ জুলাই চাদাঁর দাবীতে বলায়েররে ইউনিয়ন পলিষদের চেয়ারম্যানকে তার পরিষদে লাঞ্চিত করে। লছমনপুর ইউনিয়ন পরিষদে এসে চেয়ারম্যানের মোটরসাইকেল ভাংচুর করে ও পরিষদের সচিবসহ অন্যদের বের করে দিয়ে পরিষদের ভবনে তালা দেয়। কুসুমাহাটি বাজারে আশাপাশের একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাদাঁ দাবী করে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। ফলে দলীয় ভাবমূর্তি রক্ষায় ২৩ জুলাই রাতে ব্যবসায়ীদের সহায়তায় ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতা-কর্মীরা মিলে সবুজ ও সাগরকে আটক করে পুলিশে নোপর্দ করে। এঘটনার পরপরই লছমনপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো. আল আমিন ইসলাম সাগরকে সভাপতি পদসহ প্রাথমিক সদস্য থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করেছে শেরপুর সদর উপজেলা ছাত্রদল।

বহিষ্কারের বিষয়টি নাতেই নিশ্চিত করেন শেরপুর সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শারদুল ইসলাম মুরাদ ও সদস্য সচিব সুমন আহমেদ। তারা জানান, এর আগে গত ১৭ জুলাই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মো. আল-আমিন ইসলাম সাগরের লসমনপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতির পদ স্থগিত করা হয়েছিলো।

এদিকে এ ঘটনায় লছমনপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও মহিলা দলের নেত্রী আলেয়া বেগম বাদী হয়ে সবুজ ও সাগরসহ পাচঁজনকে আসামী করে শেরপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

অভিযোগেঅভিযুক্ত করা হয়েছে, লসমনপুর ইউনিয়নের বড় ঝাউয়েরচর এলাকার আলতাব হোসেনের ছেলে মো. সবুজ আহাম্মেদ (৩৫), কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে মো. আল আমিন ইসলাম সাগর (২৬), একই এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে ছায়দুর রহমান (৩২), লসমনপুর এলাকার মৃত এরশাদ আলীর ছেলে মো. নূর শাহ আলম পাপ্পু (৩৮), ঘীনাপাড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. নূরনবী ইসলাম (২৫) সহ অজ্ঞাত ৬/৭ জন।


লসমনপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শরিফ আল জায়েদ বলেন, চেয়ারম্যানকে না পেয়ে, আমাকে রুম থেকে বের করে দিয়ে তালা দিয়েছে।


শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইদুল আমল বলেন দুই ছাত্র নেতার বিষয় আমরা অভিযোগ পেয়েছি তারা থানা হেফাজতে রয়েছে। তাদের বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার কাজ চলমান রয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে