সুজানগরে মূলকাটা পেঁয়াজের বাজারে ধস

এফএনএস (সুজানগর, পাবনা) :
| আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম | প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৮:৩৩ পিএম
সুজানগরে মূলকাটা পেঁয়াজের বাজারে ধস

উত্তরাঞ্চলের মধ্যে পেঁয়াজ আবাদে খ্যাত পাবনার সুজানগরের হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে আগাম আবাদ করা (মূলকাটা) পেঁয়াজ। তবে হাট-বাজারে আগাম ওই পেঁয়াজের বাজারে ধস নামায় পেঁয়াজ চাষীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।  উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে আগাম আবাদ করা (মূলকাটা) পেঁয়াজের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫‘শ ৭০হেক্টর জমিতে। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৫০হেক্টর বেশি জমিতে। ইতিমধ্যে চরাঞ্চলের জমিতে আবাদ করা মূলকাটা পেঁয়াজ তোলা শুরু হয়েছে। কিন্তু হাটবাজারে মূলকাটা পেঁয়াজের বাজার একদম মন্দা। উপজেলার চরবিশ্বনাথপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষী রফিকুল ইসলাম বলেন এ বছর ১বিঘা জমিতে আগাম পেঁয়াজ আবাদ করতে সার, বীজ ও শ্রমিকসহ উৎপাদন খরচ হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। আর প্রতিবিঘা জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৫০/৬০মণ। বর্তমানে হাটবাজারে প্রতিমণ মূলকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২হাজার থেকে ২২‘শ টাকা। এ হিসাবে ১বিঘা জমির উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রি করে উৎপাদন খরচ বাদে তেমন একটা লাভ হচ্ছেনা। উপজেলার গোপালপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষী বিল্লাল হোসেন বলে মূলকাটা পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ অনুযায়ী প্রতিমণ পেঁয়াজের দাম ২৫‘শ থেকে ৩হাজার টাকা না হলে উৎপাদন খরচই উঠেনা। ফলে পেঁয়াজের বর্তমান এ বাজারে পেঁয়াজ চাষীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন এখনো হাট-বাজারে প্রচুর পরিমাণে মৌসুমী পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। সেকারণে আগাম আবাদ করা মূলকাটা পেঁয়াজের বাজার মন্দা।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে