অরক্ষিত সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় চলছে কর্মযজ্ঞ

এফএনএস (ওবায়দুল ইসলাম; সৈয়দপুর, নীলফামারী) : | প্রকাশ: ২৫ জুলাই, ২০২৫, ০৩:১০ পিএম
অরক্ষিত সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় চলছে কর্মযজ্ঞ

সৈয়দপুর হল দেশের রেল কোচ ও ওয়াগন মেরামতের বৃহৎ রেলওয়ে কারখানা। এটি বর্তমানে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। কর্তৃপক্ষ কবে নাগাদ সংরক্ষণ কাজ শুরু করবেন তা অজানা। রেলওয়ে কারখানায় শ্রমিক প্রবেশের প্রধান ফটক আর কর্মকর্তা প্রবেশের অপর প্রধান ফটকের মাঝখানের দেয়াল ভেঙ্গে গেছে। গত ১৮ জুলাই কৃষ্ণচুড়ার একটি গাছ ওই দেয়ালের ওপর পড়লে কমপক্ষে ৩০ ফুট জায়গা ভেঙ্গে পড়ে। ফলে রেলওয়ে কারখানাটি হয়ে যায় অরক্ষিত। প্রায় ১১০ একর জায়গার ওপর এই রেলওয়ে কারখানার অবস্থান। কারখানার মূল্যবান যন্ত্রাংশ ও লোহা চুরির হাত থেকে রেল কারখানাকে বাঁচাতে নির্মাণ করা হয় ১০ ইঞ্চি চওড়া ও ১০ ফুট উচ্চতার পাকা দেয়াল। আরও নিরাপদের জন্য দেয়ালের ওপর দেয়া হয়েছে তারকাটা। দিবানিশি পাহারায় থাকে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, আনসার ও রেলওয়ে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। তারপরও প্রতিনিয়ত রেলওয়ের মালামাল চুরি যায়। গত ৩০ জুন সিএন্ডডাব্লই সপে চুরি করতে গিয়ে দুজন অস্থায়ী শ্রমিক চাকুরিচ্যুত হয় এবং তিনজন স্থায়ী শ্রমিক ও কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত হয়। তার মধ্যে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার রয়েছেন একজন। একই ধরনের অভিযোগে ২৩ জুন কারখানার বগি সপের লোহা চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে দুইজন অস্থায়ী শ্রমিক। তাদেরকেও চাকুরিচুত্য করা হয়। এমনকি গত ১৯ জুন উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) গোডাউন ঘর থেকে দুই পিকআপ রেললাইন পাচার করার অভিযোগে প্রকৌশলী সুলতান মৃধাকে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে পাঠায়।

তাকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারখানাটি  নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকা সত্ত্বেও এমন চুরির ঘটনা অহরহ ঘটে। আর দেয়াল ভাঙ্গা থাকলে তাহলে চুরির আশংকা কত গুণ বেড়ে যায় তা ঠাহর করা মুশকিল। গত ২১ জুলাই রাতে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রীডে বিপর্যয় হলে গোটা সৈয়দপুর শহর ব্লাকআউট হয়ে যায়। এ অবস্থা চলে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত। এই সাড়ে চার ঘন্টায় রেলওয়ে কারখানা হতে কত মালামাল চুরি গেছে তা অংক কষে বলা মুশকিল বলে শহরের একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছে। তাদের মতে, দিনের বেলা যেখানে লোহা চোররা চুরি করে নির্ভার হয়ে, সেখানে রাতে বিদ্যুৎহীন থাকলে চোরদের জন্য এই সময়টা হতে পারে মাহেন্দ্রক্ষণ। এজন্য ওইসব ব্যক্তিরা রাষ্ট্রের এই সম্পদকে বাঁচাতে দ্রুত অরক্ষিত অবস্থা থেকে সংরক্ষিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে দেয়াল নির্মাণের দাবি জানান। 

এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) শাহ সুফী নূর মোহাম্মদ বলেন,দ্রুত সময়ে সংস্কার কাজে হাত দেয়া হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে