কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে পূর্ব বিরোধের জেরে দু,পক্ষের সংঘর্ষে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। শুক্রবার সকালে উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ আলিয়ারা গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ওই গ্রামের রোকন আলির স্ত্রী শরিফা বেগম (৬০), জাকির হোসেনের ছেলে ওসমান (১৬), জাকির হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০), রশিদ আহমেদের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৫৫), কাজি রোকন আহমেদের ছেলে কাজি কবির আহমেদ (৩৫), রোস্তম আলির ছেলে আবু তাহের (৬০) জানা যায়, গত ২৩ জুন গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আবুল খায়ের ও শেখ ফরিদ গংদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় আবুল খায়ের বাদি হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। মামলার প্রধান আসামি শেখ ফরিদকে গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লা মুরাদনগর থেকে আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনার সুত্রপাত থেকে শুক্রবার সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়দের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
গুলিবিদ্ধ হোসনারা বলেন, শেখ ফরিদের লোকজন আমাদের ওপর কয়েক দফা হামলা করে। শুক্রবার সকালে আবারও আমাদের ওপর হামলা চালায় এবং গুলি করে। নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিউটি ডাক্তার শিমা মজুমদার বলেন, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে তিনজন নারী ও একজন কিশোর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আসে। পরে আবার দুইজন পুরুষ আসে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।নাঙ্গলকোট থানার ওসি এ কে ফজলুল হক বলেন, দু'পক্ষের মধ্যে মারামারি খবর পেয়ে সেনাবাহিনীসহ আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। তবে গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাই নি আমরা।