জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান শনিবার এফডিসিতে কর ব্যবস্থাপনায় সংস্কার ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি নিয়ে ছায়া সংসদে যোগ বললেন, “জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভাগ করলেই সমস্যা সমাধান হবে না বরং পদ্ধতিগত কাঠামো ভাগের পাশাপাশি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।”
আবদুর রহমান খান আরও যোগ করে বলেন, “কর শিক্ষায় বিশ্বের দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে।’ কর শিক্ষা পাঠ্যবইয়ে যুক্ত করতে কাজ করছে।”
‘বর্তমান অডিট পদ্ধতিতে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়। প্রযুক্তিগত নিশ্চিতের মাধ্যমে এ ভয়ের নিরসন ঘটবে। কর ব্যবস্থায় নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য করতে হলে এনবিআরকে প্রযুক্তিগত দিকটি যুক্ত করতে হবে’-উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “প্রকৃত মূল্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি না হলে কমপ্লায়েন্ট প্রতিষ্ঠান ও প্রকৃত করদাতারা ক্ষতিগ্রস্থ হন। জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কর ব্যবস্থায় দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব। আমদানি ও রপ্তানিতে আন্ডার ইনভয়েসিং-ওভার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা আমাদের সমন্বিত ব্যর্থতা। বর্তমান যুগে পণ্যের দাম পৃথিবীর কোন প্রান্তে কত তা বোতাম টিপলেই জানা যায়। ঋণপত্র খোলার সময় ব্যাংকও কাস্টমস পরীক্ষা ও যাচাইয়ের মাধ্যমে দাম সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে।”
‘রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে কর ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা কঠিন। বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার কারণেই কর প্রশাসনে সুশাসন প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত সহজ হচ্ছে। কর আদায়ের চেয়ে বেশি কর অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই আইনগুলো সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে সরকার চাইলেই আর অব্যাহতি দিতে পারবে না। শুধু জাতীয় সংসদ অর্থবিলের মাধ্যমে কর অব্যাহতি দিতে পারবে’-যোগ করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।