বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইউনিয়ন ও সুনামগঞ্জ পৌরসভার ওয়ার্ডের নেত্রীবৃন্দের উদ্যোগে মাঠের কথা অনুষ্ঠিনা অনিষ্টিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে সুনামগঞ্জ শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে বিভিন্ন ইউনিটের পদবঞ্চিত নেতাদের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের আয়োচন করা হয়।
শুনবার দুপুর থেকে সদর উপজেলা ৯ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ড থেকে খন্ড খন্ড মিছিল শহরের ঐতিহ্য যাদুঘরের মাঠে সমবেত হতে থাকে। বিকাল ৩ হায় সুনামগঞ্জ সদর আসনে বিএনপির মনোনয় প্রত্যাশী দেওয়ান জয়নুল জকেরিন, আব্দুল লতিফ জেপি, আবুল মনসুর মোহাম্মদ শওকত, ব্যারিস্টার আবিদুল হক এর নেতৃত্বে একটি বিশল মিছিল ট্রাফিক পয়েন্টে মাঠের কথা অনুষ্ঠানে যোগ দেয়।
সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মঈনুল হকের সভাপতিত্বে মাঠের কথা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-নোমান।
এসময় তিনি বলেন,আমরা যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে রাপথে ছিলাম, কারাগারে ছিলাম তারা আজ বিএনপিতে বঞ্চিত। আজকে যারা নদী লুট করছেন, বালি পাথর লুট করছেন, দু বছর আগেও যাদের থাকার ঘর ছিল না এখন কুটি টাকায় বাড়ী করছেন তারা বিএনপির কেউ নন তারা ফ্যাসিস্টের উত্তর সুরী। তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়কের প্রতি ইঙ্গত করে বলেণ, ১৯৯৪ সালে মশাল হাতে নিয়ে যিনি বিএনপির ধান ক্ষেত্রে প্রবেশ করেছিলেন তার সে মশাল জিয়ার দ;লের ধান জ্বলেপুরে শেষ করছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় চাঁদাবাজ, রংবাজ, ফ্যাসিস্টদের নিয়ে ইউনিয়ণ কমিটি ঘটন করা হয়েছে আমরা সেসব কমিটি প্রত্যাখান করেছি। আজকে এ মহা সমাবেশে আপনাদের সমানে আমাদের কমিটির লোকদরে নাম ঘোণষা করছি।
সুনামড়গঞ্জ পৌরসভায় মামুন চৌধুরী আহ্বায়ক ও জালাল উদ্দিনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে সুনামগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড, রাশিদ আলী আহ্বায়ক ও কাজী জসিম কামালকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২নং ওয়ার্ড, মহির উদ্দিন আহ্বায়ক ও জাকির খানকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৩নং ওয়ার্ড, জাকির খান আঙ্গুর আহ্বায়ক ও হোসাইন মাহমুদ শাহীনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৪নং ওয়ার্ড, আবুল হোসেন আজাদ আহ্বায়ক ও মোর্শেদ আলম শ্যামলকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৫নং ওয়ার্ড, মো. সোনা মিয়া আহ্বায়ক ও সুয়েব আহমদ চৌধুরীকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৬নং ওয়ার্ড, রুপন মিয়া আহ্বায়ক ও সোয়েব আহমদকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৭নং ওয়ার্ড, বাদশা নুর মিয়া আহ্বায়ক ও আনোয়ার হোসেনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৮নং ওয়ার্ড, মো. রমিজ মিয়া আহ্বায়ক ও মো. ফারুক মিয়াকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৯নং ওয়ার্ড।
তৈয়ব আলী আহ্বায়ক ও শহীদুল ইসলামকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে সদর উপজেলার কুরবাননগর ইউনিয়ন, নিজাম উদ্দিন আহ্বায়ক ও আব্দুল কাইয়ুমকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে মোহনপুর ইউনিয়ন, মো. হাফিজুর রহমান আহ্বায়ক ও জিয়া উদ্দিনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে লক্ষণশ্রী ইউনিয়ন, মো. আদম আলী আহ্বায়ক ও আমজাদ হোসেনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন, ওদুদ মিয়া আহ্বায়ক ও হাবিবুর রহমানকে যুগ্ম আহবায়ক করে কাঠইর ইউনিয়ন, হোসেন আলী আহ্বায়ক ও ফিরোজ মিয়াকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে সুরমা ইউনিয়ন, সামসুল হক আহ্বায়ক ও সৈয়দ গোলাম কিবরিয়াকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে গৌরারং ইউনিয়ন, মো. তাজুদ আলী আহ্বায়ক ও মো. আব্দুল হককে যুগ্ম আহ্বায়ক করে রঙ্গারচর ইউনিয়ন, ছমরু মিয়া আহ্বায়ক ও আমিরুল ইসলামকে যুগ্ম আহ্বায়ক, করে মোল্লাপাড়া ইউনিয়ন। এ সময় হাজার হাজার নেতাকর্মী করতালিল মাধ্যমে নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানান। সভায় বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেলিম উদ্দিন আহমদ।
এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষের মনোনয় প্রত্যাশী, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন, বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল মনসুর শওকত, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আব্দুল লতিফ জেপি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ব্যারিস্টার আবিদুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আ স ম খালিদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেলিম উদ্দিন আহমদ, জেলা বিএনপির সাবেক প্রজার সম্পাদক ময়না, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদত সৈয়দ সফিক আহমদ, সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল করিম প্রমূখ।