আশাশুনিতে অন্যের মুক্তিযোদ্ধার কাগজপত্র নিজের নামে ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির অভিযোগের তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। আশাশুনি উপজেলার নাংলা গ্রামের (বর্তমানে খুলনায় বসবাসরত) মৃত কালাচাঁদ মোল্যার ছেলে মোঃ জামাল উদ্দীন ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনি বাইরে থাকার সুযোগে তার বেমাতা বড় ভাই মোঃ আনছারুজ্জামান তার (জামাল উদ্দীন) কাগজপত্রে নিজের নাম ভূয়াভাবে দেখিয়ে যোগসাজসের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করান। জানতে পেরে তিনি ১৫/৫/২২ তাং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে আশাশুনির সহকারী কমিশনার (ভূমি) তদন্ত শুরু করেন। তদন্ত শেষে অভিযুক্ত বেসামরিক গেজেটধারীদের যাচাই পূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায় গত ২২ জানুয়ারী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) এর মহা পরিচালক বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরন করেন। যাতে দেখা যায় বাদী জামাল উদ্দীন ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলেন। কিন্তু তার ভাই আনছারুজ্জামান তার কাগজপত্র ব্যবহার করে তার নিজের নামে মুক্তিযোদ্ধার কাগজপত্র হাসিল করেছেন। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বাদী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন।