পুশইন করতে হলে শেখ হাসিনাকে পুশইন করুন: নাহিদ ইসলাম

এফএনএস (শাকিল আহমেদ শাহরিয়ার; শেরপুর) : | প্রকাশ: ২৮ জুলাই, ২০২৫, ০১:২০ পিএম
পুশইন করতে হলে শেখ হাসিনাকে পুশইন করুন: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, কোটা আন্দোলন থেকে গণঅভ্যুত্থান যার মাধ্যমে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ থেকে দিল্লিতে পালিয়েছে। সেই দিল্লিতে বসে রয়েছে শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের হাজারো সন্ত্রাসীকে দিল্লি আশ্রয় দিয়েছে। আর এই সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত পুশইন হচ্ছে, জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এই পুশইনের বিরোধিতা করেছি। আমরা ভারত সরকারকে বলেছি, সীমান্তে কোন হত্যাকাণ্ড মেনে নেবো না, সীমান্তে আমরা কোন পুশইন মেনে নেবো না। পুশইন করতে হলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের পুশইন করুন, শেখ হাসিনাকে পুশইন করুন। আমরা বিচারের মাধ্যমে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবো।

নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছরের মধ্যেও আমরা দৃশ্যমান কোন বিচার দেখিনি। আওয়ামী লীগের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় রয়ে গিয়েছে। প্রশাসনে ঘাপটি মেরে রয়েছে। আমরা গোপালগঞ্জে দেখেছি কিভাবে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করেছিল। আমরা পরিস্কারভাবে বলেছি, গোপালগঞ্জসহ সারা বাংলাদেশে মুজিববাদকে আমরা দাঁড়াতে দিবো না। যারা এখনো প্রশাসনসহ পুলিশে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে কাজ করছে

তিনি আরও বলেন, শেরপুরে হাসপাতাল থাকলেও চিকিৎসাসেবা নাই, শিক্ষা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নাই, কর্মসংস্থান নাই। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিগত আমলে শাসন করলেও শেরপুরে উন্নয়ন নাই। উন্নয়ন পেয়েছে শুধু আওয়ামী লীগের দোসররা, সন্ত্রাসীরা। যারা দেশের টাকা লুট বিদেশে পলাতক অবস্থায় আছে।

রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে শেরপুর শহরের থানা মোড়ে  শহীদ স্কয়ারে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ এবং  শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ মাহাবুব চত্বর থেকে দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা বের করা হয় । এতে যোগ দেন সর্বস্তরের ছাত্র -জনতা ।

সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সামান্তা শারমীন বলেন, গত কয়েকদিন আগে ঢাকার মাইলস্টোন কলেজে যেই শিশুরা অগ্নিদগ্ধ হয়েছে এবং মৃত্যুবরণ করেছে তাদের চেয়েও দগ্ধ মন নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। আমরা লক্ষ্য করছি, এই ঘটনার তদন্তভার অগ্রগতি হচ্ছে না। আমরা পরিস্কার করে জানতে চাই, এই মাইলস্টোনের ঘটনার পেছনে কার কার হাত আছে।

পথসভায় উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, বিগত সময়ে বাংলাদেশের প্রতিটা সিস্টেম কিছু ধান্দাবাজ, বাটপার, ব্যক্তি স্বার্থকে প্রধান্য দেওয়া হয়েছিল। যার কারণে কুলসিত হয়েছিল। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময় গিয়েছে সেই লোকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অতঃপর কালপিটরা আবারো সেই সিস্টেমগুলোকে নতুন করে জেঁকে বসেছে।

দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিতে আমরা শ্লোগান দেইনা ‘নেতা তোমার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’। একটা বিপদ আসলে বুঝা যায় কয়জন রাজপথে থাকে। ভালো সময় থাকলে কর্মীর অভাব হয়না। কিন্তু সংকটের সময় যারা রাজপথে থাকে তারা প্রকৃত কর্মী। আমার হাজার হাজার লাখো লাখো কর্মীর দরকার নাই।  এই কর্মীগুলোকে নিয়েই আমরা রাজনিতি করতে এসেছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা  এনসিপি শেরপুরের প্রধান সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার মো. লিখন মিয়াসহ জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীরা। পরে এনসিপি নেতারা শেরপুর থেকে জামালপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে