মাধবপুরে মাদক সম্রাট বিপুল পরিমাণ মাদক ও অস্ত্রসহ গ্রেফতার

এফএনএস (মোঃ আলাউদ্দিন রনি; মাধবপুর, হবিগঞ্জ) : | প্রকাশ: ৩০ জুলাই, ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম
মাধবপুরে মাদক সম্রাট বিপুল পরিমাণ মাদক ও অস্ত্রসহ গ্রেফতার

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের চিহ্নিত সম্রাট ফুয়াদ হাসান সাকিবকে ৩ সহযোগী, বিপুল পরিমান মাদক ও অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। সে উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের সোয়াবই গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে।

বুধবার ভোর রাতে মাধবপুর বাজার এলাকা থেকে তাকে সেনাবাহিনী ও বিজিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেন। এ সময় তার সহযোগী ধর্মঘর এলাকার মাদক ব্যবসায়ী নাইদ, জাবেদ ও নয়ন এবং ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৮ কেজি গাঁজা, ৪টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন, ৪টি মোটরসাইকেল, ৩টি বল্লম, একটি রামদা, বিদেশি মদের বোতল ও ফেনসিডিল জব্দ করেন।

বিজিবি সরাইল ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল জাব্বার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সমন্বয়ে অভিযান চালিয়ে সাকিবকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় চালিয়ে আরও তিনজনকে  আটক করা হয়েছে। সাকিবের কাছ থেকে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৮ কেজি গাঁজা, ৪টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন, ৪টি মোটরসাইকেল, ৩টি বল্লম, একটি রামদা, বিদেশি মদের বোতল ও ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে। ফুয়াদ হাসান সাকিবের বিরুদ্ধে ১৫টিরও বেশি মাদক, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক কারবারে সক্রিয় ছিল এবং তার একটি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ইমরান হোসাইন রুবেলঃ সোনালী আঁশ হিসেবে খ্যাত বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে এবার পাটের চাষ ভালো হয়েছে। চাষিরা দামও পাচ্ছেন ন্যায্য। এই দাম পাওয়ায় চাষিরা যেমন লাভবান হচ্ছেন তেমনি আগামী দিনে এই ফসলের চাষ আরো বাড়বে বলে আশা করছেন চাষিরা। জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার বগুড়ার বারো উপজেলায় পাট চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য সারিয়াকান্দি উপজেলায় পাট চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৫০৫ হেক্টর জমিতে। এই উপজেলায় যদিও লক্ষ্যমাত্র নির্ধারন করা হয়েছিলো ৩ হাজার ৫০৬ হেক্টর। ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে বপণ করা পাট শ্রাবন মাসে কর্তন করা হয়। এই মৌসুমে প্রতি বিঘায় ৯/১১ মন করে এবার ফলন পাওয়া যাচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে পাট চাষ করে এবার চাষিরা ন্যায্য দাম পেয়ে খুবই খুশি। বন্যা না আসা, পোকার আক্রমন না থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। ফলন ও দাম ভালো পাওয়া খুশির মুল কারন। তাছাড়া প্রতি বিঘার পাটকাটি বিক্রি করে উপরন্ত ৩/৪ হাজার টাকা পাওয়া যায়। উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া চরের চাষি আয়নাল হক প্রাং বলেন, এবার ৮ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। এরই মধ্যে ৬ বিঘা জমির পাট কর্তন করা হয়েছে। শুনছি এবার বাজারে ভালো দাম, এতে আমাদের সুদিন ফিরেছে। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এরই মধ্যে ১৬’শ ৫৩ হেক্টর জমির পাট কর্তন করা হয়েছে। বাজারে ভালোমানের পাট বিক্রি হচ্ছে ৩৫ শত টাকা থেকে শুরু করে ৩৮ শত টাকা প্রতি মন দরে বিক্রি হচ্ছে। পাটের ফলন ভালো হওয়ায় প্রতি হেক্টরে ২.৭ মেঃ টন পাট উৎপাদন হবে। এই হিসেবে মোট জমি থেকে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার মেঃ টন পাট উৎপাদন হবে বলে আমরা আশা করছি। উল্লেখিত জমি থেকে পাট বিক্রি করে এবার চাষিদের ঘরে উঠবে ৭৬ কোটি ৭ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। এই চাষের সাথে জড়িত রয়েছেন প্রায় ২৫ হাজার কৃষক-কৃষানি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ বলেন, এই মৌসুমে পাটের কোন রোগ-বালাই ছিলোনা। তাছাড়াও বন্যা না আসায় চরে পাটের ফলন ভালো হয়েছে, দামও পাচ্ছেন ন্যায্য। মোট কথা সোনালী আঁশের সুদিন ফিরেছে চাষিদের। এতে লাভবান হবেন চাষিরা।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে