দিরাই বিএনপিতে আ’লীগপন্থীদের পুনর্বাসনের অভিযোগ

এফএনএস (আবুল কাশেম মোঃ মহিম; সুনামগঞ্জ) : | প্রকাশ: ১ আগস্ট, ২০২৫, ০৬:১১ পিএম
দিরাই বিএনপিতে আ’লীগপন্থীদের পুনর্বাসনের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা বিএনপিতে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নেতৃত্বে বসানোর অভিযোগ উঠেছে। জগদল ইউনিয়ন বিএনপির নবঘোষিত কমিটিতে বিতর্কিত ও আওয়ামী লীগপন্থী ব্যক্তিকে আহ্বায়ক হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার জগদল ইউনিয়ন বিএনপির কয়েকজন নেতা-ইউনিয়ন যুবদলের মো. মুক্তাদির, ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মতি মিয়া ও নুরুজ্জামান-এক লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, সুনামগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন মিলন এবং সাক্ষরক্ষম সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল হকের কাছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জগদল ইউনিয়নের আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত সমুজ মিয়া অতীতে আওয়ামী লীগপন্থী হিসেবে পরিচিত এবং তার রাজনৈতিক অতীত বিতর্কিত। তিনি একবার উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আবেদন করলেও জেলা কমিটির জানুয়ারি মাসের বৈঠকে তার আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ও দলবিরোধী কার্যকলাপের কারণে আবেদন বাতিল করা হয়।

জেলা বিএনপির ১৬টি ইউনিটে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় যাদের আবেদন বাতিল হয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ, সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ ছিল-যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

অভিযোগকারীদের দাবি, সমুজ মিয়াকে পুনরায় আহ্বায়ক করা জেলা ও কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের পরিপন্থী এবং সাংগঠনিক নীতিমালার লঙ্ঘন। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ৫ আগস্ট পর্যন্ত সমুজ মিয়াকে কোনো বিএনপির কর্মসূচিতে দেখা যায়নি; বরং তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের পক্ষে প্রচারনায় অংশ নিয়েছেন।

এ ঘটনায় দিরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক কবির মিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যোগসাজশের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে আরও দাবি করা হয়, সমুজ মিয়া সম্প্রতি বিএনপির সভা-সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে অংশ নিচ্ছেন এবং মঞ্চে বসছেন-যা দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী।

এছাড়া যুগ্ম আহ্বায়ক কবির মিয়ার বিরুদ্ধেও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় নেতারা। অভিযোগে বলা হয়, তিনি একজন বিতর্কিত ব্যক্তি, যাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি ভাইরাল হয়েছে। এমনকি তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকেও, যিনি আগে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না, উপজেলা কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগে সমুজ মিয়াকে আহ্বায়ক পদ থেকে অব্যাহতি, বিষয়টির তদন্ত এবং গ্রহণযোগ্য কাউকে আহ্বায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এ অভিযোগের অনুলিপি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের কাছেও পাঠানো হয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে