রাজধানীর গুলিস্তানের প্রাণকেন্দ্রের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের ৫ম তলায় আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১১ ইউনিটের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ১১টা ১২ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা যায়।
শনিবার আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (ঢাকা) কাজী নজমুজ্জামান জানিয়েছেন, “ভবনের নিচ তলা ও চার তলাসহ বিভিন্ন ফ্লোরে অনেক লোকজন ছিল। এসব লোকজনকে বারবার বলার পরেও বের হতে চাচ্ছিলেন না। পরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ সেনাবাহিনী এসব লোকজনকে ভবন থেকে বের করার চেষ্টা করে। এর কারণে আগুন নেভানোর কাজ ব্যাহত হচ্ছিল। আমরা যদি সঠিক সময়ে আমাদের কাজ না করতে পারি তাহলে তো আগুন নেভানো সম্ভব নয়। তবে বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় বিপদজনক এই আগুন নির্বাপণ করতে পেরেছি। অগ্নিকাণ্ডটা বিপদজনক ছিল।”
ভবনের ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। এছাড়া ভবনে কোনো ধরনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। এই ভবনটাকে আমরা অনেক আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে ঘোষণা করেছিলাম। ভবনের বৈদ্যুতিক সংযোগের তারগুলো এলোমেলো অবস্থায় ছিল। এর কারণে আগুনটা একদিক থেকে অন্য দিকে চলে যায়। প্রচণ্ড ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। এতে করে আগুন নিভাতে আমাদের বেগ পেতে হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল এর কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন বলেন, “আমাদের ১১টি ইউনিট কাজ করে বেলা ১১টা ১২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণ এনেছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানা যায়নি। এছাড়া আগুনে কেউ হতাহত হয়েছে এমন কোনো সংবাদ আমাদের কাছে আসেনি।”
এর আগে ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) তালহা বিন জসিম গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, ১০টা ৩ মিনিটে প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও ১০ ইউনিট সেখানে যোগ দেয়। মোট ১১ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
তথ্যে সূত্রে জানা গেছে, ভবনের ৫ম তলার একটি গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে ভবনের অন্যান্য ফ্লোরে থাকা দোকানিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেনাবহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে মাইকিং করে দোকানদারদের ভবন থেকে নেমে আসার আহ্বান জানানো হয়। তারা যাতে অগ্নি নির্বাপন কাজ সহজে করতে পারে সেজন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়।