সাড়ে ৮ হাজার নারী শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হাইজিন কর্নার

এফএনএস (মনিরুজ্জামান ফারুক; ভাঙ্গুড়া, পাবনা) : | প্রকাশ: ২ আগস্ট, ২০২৫, ১২:৪৩ পিএম
সাড়ে ৮ হাজার নারী শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হাইজিন কর্নার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সাড়ে ৮ হাজার নারী শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হাইজিন কর্নার চালু করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার ২৫ টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হাইজিন কর্নার চালু সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট বিদ্যালয়গুলোতেও শিগগির এ সেবা কার্যক্রম চালু করা হবে। 

এসব হাইজিন কর্নারে একটি বাক্সে স্যানিটারি ন্যাপকিন, টিস্যু,ওষুধ ও হ্যান্ড স্যানিটারি রাখা আছে। বিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় কোনো শিক্ষার্থীর স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্রয়োজন হলে তারা সেখান থেকে নিয়ে ব্যবহার করতে পারবে। আর এই বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্ব-স্ব বিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষিকাকে।

জানা গেছে,উপজেলার মোট ৩৯ টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮ হাজার ৫৬০ জন নারী শিক্ষার্থী রয়েছে । পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে অধিকাংশ নারী শিক্ষার্থী শ্রেণি কক্ষে  অনুপস্থিত থাকে। আবার কেউ কেউ উপস্থিত হলেও শ্রেণি কক্ষে এসে তাদেরকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে হয়। এসকল বিষয় চিন্তা করে উপজেলার সবকটি বিদ্যালয়ে হাইজিন কর্নার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করে উপজেলা প্রশাসন। আর এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি ২৫ টি বিদ্যালয়ে হাইজিন কর্নার চালু করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে প্রয়োজনীয় স্যানিটারি ন্যাপকিন, টিস্যু,ওষুধ ও হ্যান্ড স্যানিটারি সরবরাহ করা হচ্ছে। 

ভাঙ্গুড়া জরিনা-রহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শওকত আলী  জানান,"তার বিদ্যালয়ে ৪৯২ জন নারী শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হাইজিন কর্নার চালু করা হয়েছে । এতে করে পিরিয়ড চলাকালীন সময়েও নারী শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কক্ষে উপস্থিত থাকতে পারবে।"

মমতাজ-মোস্তফা আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম বলেন, একজন নারী শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে হাইজেনিক কর্নারে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও উপকরণাদি রাখা হয়েছে। যাতে পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে মেয়েরা দ্রুত এখন থেকে সেবা নিতে পারে।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিকুজ্জামান জানান, উপজেলার নারী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পর্যায়ক্রমে হাইজিন কর্নার চালু করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বাস্থ্য  সচেতনতা বাড়বে। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।"

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. নাজমুন নাহার বলেন, " নারী শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কক্ষে অনুপস্থিতি রোধে ও তাদের সাস্থ্য সুরক্ষায় এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সকাল থেকে বিকেল একটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত নারী শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে অবস্থান করে। এসময়েও যেন তারা হাইজিন মেইন্টেন করতে পারে সেজন্য তাদেরকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।"

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে