আজ ২রা আগস্ট পাবনা-২আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এডঃ এ.কে.এম সেলিম রেজা হাবিবের বাবা পাবনার সুজানগরের কৃতী সন্তান এ.কে.এম হাবিবুর রহমানের ৫৬তম মৃত্যু বার্ষিকী। এ উপলক্ষে মরহুমের সুজানগরের মালিফাস্থ বাসভবনে দিনভর কোরআন খানি, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। মরহুম হাবিবুর রহমান ১৯৩৫সালে মালিফা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম তাহের উদ্দিন শেখ। তিনি শিক্ষা জীবনে মালিফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে একই উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৫২সালে ওই বিদ্যালয় হতে তিনি কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে একাদশ শেণিতে ভর্তি হন। এ কলেজ থেকে তিনি সফলতার সাথে এইচএসসি ও স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এর পর তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমএএলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। মরহুম হাবিবুর রহমান যখন এমএএলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন তখন এ দেশে চলছিল কর্তৃত্ববাজ পাকিস্তান সরকারের দুঃশাসন। এ সময় পকিস্তান সরকারের অধীনে কোন বাঙালির উচ্চ পদে চাকরি পাওয়া ছিল যেন কোন অসাধ্যকে সাধন করা। কিন্তু ওই সময় হাবিবুর রহমান তার প্রচণ্ড মেধা এবং দক্ষতাবলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের পরিকল্পনা বিভাগে সহকারী পরিচালক পদে চাকরি লাভ করেন। তিনি সে সময় সরকারের পরিকল্পনা বিভাগে চাকরি করার সুবাদে সুজানগরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অন্যন্য অবদান রাখেন। বিশেষ করে তিনি ওই সময় তাঁর নামে মালিফা গ্রামে হাবিবুর রহমান বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, মালিফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাজিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, মোমিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উলাট সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করাসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে অবদান রাখেন। এতে তিনি এলাকায় সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার গৌরব অর্জন করার পাশাপাশি সমাজসেবক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৬৯সালে চাকরি করা অবস্থায় মাত্র ৩৫বছর বয়সে এই কীর্তিমান পুরুষ পরিবারপরিজন, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং শুভাকাঙ্খীদের চোখের জলে ভাসিয়ে পরলোকবাসী হন। মরহুম হাবিবুর রহমানের অকাল মৃত্যুতে তার সন্তানরা হারান একজন আদর্শ ও যোগ্য পিতাকে আর সুজানগরবাসী হারান একজন বিচক্ষণ অভিভাবক ও সফল উন্নয়ন কর্মীকে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ছেলে ও ১মেয়েসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।