চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ও দূর্ঘটনা এড়াতে মোটরসাইকেল চালিয়ে বিদ্যালয়ে আসার ব্যাপারে শীঘ্রই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানা গেছে।
সদ্য যোগদান কৃত হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.আবদুল্লাহ আল মুমিন বিষয়টির সত্যতা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে উপজেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির এক জরুরী সভায় এই সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়।
জানা গেছে, অনেক শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলাকালেও মোবাইল ফোনে গেম, রিলস কিংবা টিকটক দেখে সময় পার করে। এর ফলে শিক্ষার পরিবেশ যেমন বিঘ্নিত হয় তেমনি শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা ও নৈতিক মানেও অবনতি ঘটছে। শীঘ্রই এই সিদ্ধান্ত কার্যকরে নির্দেশনা জারি এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক ক্যাম্পেইন শুরু করা হবে।
এ উদ্যোগের ব্যাপারে কুতুব উদ্দীন নামের পৌরসদরের একটি সরকারি বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, "আমরা চাই আমাদের সন্তানেরা লেখাপড়ায় মনোযোগী হোক। এ সময়টিতে এমন একটি সিদ্ধান্ত খুব দরকার ছিলো।এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার উপজেলা প্রশাসনকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
দক্ষিণ মাদার্শা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো.জাহেদুল ইসলাম বলেন, "উদ্যোগটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এতে শিক্ষার মান বাড়বে নিঃসন্দেহে।"
তবে বিজ্ঞ মহল ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত শিক্ষার্থীদেরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোবাইল নিয়ে আসা ও মোটরসাইকেল নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্লাস রুমে মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রস্তাব করছেন।
জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.আবদুল্লাহ আল মুমিন বলেন, "শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্যই এধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে, যার প্রভাব তাদের পড়ালেখায় পড়ছে। আর মোটরসাইকেল ব্যবহারের ফলে দুর্ঘটনাও বাড়ছে।আমরা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল, শৃঙ্খলাপূর্ণ ও নৈতিক গুণসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে চাই। মোবাইল ও মোটরসাইকেল ব্যবহারে বিধিনিষেধ শিমোক্ষার পরিবেশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।