সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সম্পর্ক ও প্রতারণা মামলা: আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

এফএনএস বিনোদন | প্রকাশ: ৩ আগস্ট, ২০২৫, ০২:৫৯ পিএম
সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সম্পর্ক ও প্রতারণা মামলা: আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

আট মাস আগে সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দয়াইলানের সঙ্গে পরিচয়ের কথা জানিয়েছেন আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী মেঘনা আলম। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে কোনো লুকোচুরি ছিল না। তিনি বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক পোস্ট ছিল আমাদের নিয়ে, এমনকি বন্ধু মহলেও বিষয়টি পরিচিত ছিল।”মেঘনা জানান, নারী অধিকার ও ভৌগলিক পরিবেশ নিয়ে কাজ করার সূত্রে সৌদি আরবের একটি উন্নয়ন প্রকল্পে আলোচনার সময় তার সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের পরিচয় হয়। শুরুতে এটি পেশাগত সম্পর্ক হলেও ধীরে ধীরে তা ব্যক্তিগত সম্পর্কে রূপ নেয়।তিনি বলেন, প্রথম কফি ডেটেই রাষ্ট্রদূত তার আঙুলে হীরার আংটি পরিয়ে দিয়ে বলেন, “আমি তোমাকে সম্মান করি, বিশ্বাস করি এবং তোমার দায়িত্ব নিতে চাই।”তবে এই সম্পর্ক ঘিরেই এখন তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের ‘হানি ট্র্যাপে ফেলে প্রতারণা’ চক্রের মামলায় বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করে, বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের ফাঁদে ফেলে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায়ের জন্য একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করার অভিযোগ রয়েছে মেঘনার বিরুদ্ধে। আদালতে নিজের বক্তব্যে মেঘনা বলেন, “আমার একমাত্র সম্পর্ক ছিল ঈসার সঙ্গে। সে এখন মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে। এমনকি আমাকে কোনো আইনজীবীও দেয়া হয়নি।” আসামিদের মধ্যে আরেকজন, দেওয়ান সমির, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি সাধারণ প্রবাসী, রেমিট্যান্স যোদ্ধা। মেঘনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।” শুনানি শেষে আদালত মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরকে গ্রেপ্তার দেখান এবং সমিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে, ৯ এপ্রিল রাতে মেঘনাকে ডিটেনশন আইনে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার ধরন ও গ্রেপ্তারের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে। পরবর্তীতে ডিবি প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।