ইবি শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ

এম এম মামুন; রাজশাহী | প্রকাশ: ৪ আগস্ট, ২০২৫, ০২:৫৫ পিএম
ইবি শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহকে শ্বাসরোধে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে ‘রাবিস্থ মিল্লাত পরিবার’ ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকালে শিক্ষার্থীরা হাতে তুলে ধরেন ‘জাস্টিস ফর সাজিদ’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘রেইজ ইউর ভয়েস ফর সাজিদ’, ‘আমার ভাই কবরে, প্রশাসন কী করে’, ‘সাজিদ হত্যার বিচার চাই’, ‘দোষীদের ফাঁসি চাই’– এমন নানা দাবির প্ল্যাকার্ড। মানববন্ধনে বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কার্যকারিতা ও ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁরা বলেন, সাজিদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয় কতটা অনিরাপদ হলে ক্যাম্পাসের ভেতরে একজন শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়! অথচ প্রশাসন এ বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। হত্যার বিচার নিশ্চিত করা তো দূরের কথা, এখনো পর্যন্ত হত্যাকারীদের চিহ্নিতই করতে পারেনি।’ রাবিস্থ মিল্লাত পরিবারের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী হত্যার ১০ দিন পার হয়ে গেলেও ইবি প্রশাসন কোনো অন্তর্বর্তী পদক্ষেপ নিতে পারেনি, এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। দিনে-দুপুরে খুন হওয়ার পরও প্রশাসনের টালবাহানা চলছেই। আমরা দ্রুত বিচার চাই এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। অন্যথায় দেশজুড়ে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।’ স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফাহির আমিন বলেন, ‘সাজিদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন এমন আর না ঘটে, সে জন্য এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যদি প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্তে ব্যর্থ হয়, আমাদের আন্দোলন আরও জোরদার হবে।’ মানববন্ধনের আগে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। কর্মসূচিতে প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। গত ১৭ জুলাই ইবির শাহ আজিজুর রহমান হলসংলগ্ন পুকুর থেকে সাজিদ আবদুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর গতকাল রবিবার, ৩ আগস্ট ফরেনসিক প্রতিবেদনে জানা যায়, সাজিদকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তার মরদেহ পানিতে ফেলে রাখা হয়েছিল।
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে