নানা আয়োজনে যবিপ্রবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপন

এফএনএস (আতিকুর রহমান হাসিব; যশোর) : | প্রকাশ: ৫ আগস্ট, ২০২৫, ০৫:২৩ পিএম
নানা আয়োজনে যবিপ্রবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপন

জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, বিজয় র‌্যালি, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, আলোচনা সভা, কেক কাটা, রচনা প্রতিযোগিতা, শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, জুলাই ২০২৪ এ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত এবং শহীদদের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত, জুলাই গণজাগরণ গানের অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫ উদযাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ৫ আগস্ট সকাল ৯:৪৫ টায় যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫ উদযাপন আষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর যবিপ্রবি উপাচার্যের নেতৃত্বে প্রধান ফটক হতে বিজয় র‌্যালি শুরু হয়। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক হয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম একাডেমিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে যবিপ্রবির জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম একাডেমিক ভবনের অধ্যাপক মোহাম্মদ শরীফ হোসেন গ্যালারীতে শুরু হয় “জুলাই বিপ্লব এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ ভাবনা”শীর্ষক সেমিনার। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ।

যবিপ্রবি উপাচার্য জুলাই বিপ্লবের তাৎপর্য উল্লেখ করে বলেন, “জুলাই বিপ্লবের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং যারা অসুস্থ আছে তাদের আশু সুস্থতা কামনা করছি। তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লব হয়েছিলো দূর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন দেশ গড়ার লক্ষ্যে। আমরা সবাই নিজেদের জায়গা থেকে একটি আদর্শ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। এজন্য আমাদের সকলের সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। এই যবিপ্রবি হবে দূর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন। এই যবিপ্রবিতে বৈষম্যের কোনো ঠাঁই হবে না। প্রত্যেকে প্রত্যেকের ন্যায্য অধিকার বুঝে পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।”

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ও সভাপতিত্ব করেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন। তিনি জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ভূমিকা ও আগামীর উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও তথ্যবহুল বিষয়াবলী আলোচনা করেন।

সেমিনার শেষে যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্যালারীতে জুলাই যোদ্ধা ও শিশু-কিশোরদের সাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেক কাটে। এরপর বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় রচনা প্রতিযোগিতা ও শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এরপর কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ জোহর জুলাই বিপ্লবের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও যারা অসুস্থ রয়েছে সেসকল বীরদের আশু সুস্থতা কামনায় দোয়া-মোনাজাত করা হয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে যবিপ্রবির সকল হলে উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। বিকাল ৫ টায় শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শুরু হয় জুলাই গণজাগরণ গানের অনুষ্ঠান।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও যবিপ্রবির সম্মানিত রিজেন্ট বোর্ড সদস্য অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ আসমা বেগম, সম্মানিত রিজেন্টবোর্ড সদস্য ড. মো. ওমর ফারুক, যবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. রাফিউল হাসান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়াম্যান ড. মো. মাসুম বিল্লাহ, পিইএসএস বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ইসমাইল হোসেন, জিইবিটি বিভাগের শিক্ষার্থী সামিউল আলিম সামি, পিইএসএস বিভাগের শিক্ষার্থী সৈকত, ফারজানা রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং প্রভাষক মো. শাহানুর রহমান শুভ। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে