ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে গত বছরের জুলাই-আগষ্টে সরকার পতনের আন্দোলনে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। শহীদদের একজন হচ্ছেন উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের হাফেজ আব্দুস সাত্তারের ছেলে হাফেজ মাওলানা মুফতী মাহমুদুল হাসান মাহদী (২৬)। আরেক হচ্ছেন অরূয়াইল ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের জরূন মিয়ার ছেলে জসিম (৩৫)। গতকাল ৫ই আগষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন ও পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে গেছেন শহীদদের কবরে।
সূত্র জানায়, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের বর্ষপুর্তিতে মঙ্গলবার সরাইলের দুই শহীদ মাহদী ও জসিমের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে সকালেই অরূয়াইলের বারপাইকা গ্রামে ছুটে যান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন ও অফিসার ইনচার্জ মোরশেদুল আলম চৌধুরী। তারা প্রথমে শহীদ জসিমের কবরে পুষ্ফস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেন করেন। পরে কোরআন তেলাওয়াতের মাধমে দোয়া করেন। জসিম ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে সরকার পতনের লড়াইয়ের অংশ গ্রহন করে ঢাকার গাবতলী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়েছিলেন। দুপুরের দিকে তারা চলে যান ফতেহপুর গ্রামে শহীদ মাহদীর কবরে। সেখানে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি ও দোয়া করা হয়। মাহদী ৫ই আগষ্ট সন্ধ্যায় ঢাকার উত্তরা থানার সামনে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়েছিলেন। উভয় শহীদের কবরে পুষ্ফস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সরাইল সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাদের পরকালীন জান্নাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেছেন সরাইল মডেল মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা বাকি বিল্লাহ। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন জানান, আমরা জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষে জুলাই শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছি। পাকশিমুল ইউনিয়নের তেলিকান্দি গ্রামের ফারূক আহমেদের ছেলে শহীদ মো. রায়হান উদ্দিনের পরিবার গ্রামে থাকেন না। তারা সকলেই সিলেটে বসবাস করেন। পরবর্তীতে রায়হানের কবরেও শ্রদ্ধা নিবেদন করব।