৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ১৮ বছর পূর্ণ হলেই জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ৭ আগস্ট, ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ১৮ বছর পূর্ণ হলেই জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ

ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন আরও লাখো তরুণ। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহীদের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষণা দিয়েছে—২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। এতে করে নতুনভাবে প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ তরুণ-তরুণী ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

এই সিদ্ধান্তের কথা জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কমিশন সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভোটার তালিকা আইনে সামান্য সংশোধন আনা হয়েছে, যার ফলে বছর শেষে নয়—মাঝামাঝিতেই ভোটার হালনাগাদ করা সম্ভব হবে।

তিনি জানান, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে, সেই নাগরিকদের তালিকাভুক্ত করা হবে। আগামী ১০ অক্টোবর প্রকাশিত হবে খসড়া তালিকা, আর তা চূড়ান্ত হবে ৩১ আগস্ট।

এছাড়াও প্রবাসীদের জন্য ভোটাধিকারে নতুন দিগন্ত খুলছে বলে জানান কমিশনার। প্রবাসীদের ভোট নিশ্চিত করতে প্রথমবারের মতো পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করছে ইসি। এতে থাকবে প্রতীক-সম্বলিত ব্যালট (সিম্বল ব্যালট)। ভোটারদের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর প্রার্থীদের প্রতীক দেখে ভোট দেওয়ার সুযোগ মিলবে।

তিনি জানান, সবচেয়ে কাছের দেশেও সাধারণ ব্যালট পাঠাতে সময় লাগে ১৮ দিন, আর দূরের দেশগুলোতে সময় লাগে প্রায় ২৮ দিন। তাই নামসহ ব্যালট পাঠানো হলে তা সময়মতো পৌঁছাবে না। প্রতীক-ভিত্তিক ব্যালট হলে সেই সমস্যা এড়ানো সম্ভব হবে। পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থার আওতায় থাকবেন তিন ধরনের মানুষ: প্রবাসী, কারাবন্দি এবং ভোটে নিয়োজিত সরকারি কর্মচারীরা।

এই পদ্ধতি বাস্তবায়নে সেপ্টেম্বর থেকেই পোস্টাল ব্যালট সংক্রান্ত প্রচার ও ভোটার শিক্ষার কাজ শুরু হবে। তবে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর কেউ যদি আদালতের আদেশে প্রার্থী হিসেবে যোগ হন, তাহলে তার ক্ষেত্রে পোস্টাল ব্যালট কার্যকর হবে না। এমন পরিস্থিতি দ্রুত সমাধানে আইনি প্রক্রিয়া সহজ করার কথা ভাবছে কমিশন।

পোস্টাল ব্যালট প্রক্রিয়াটি আর্থিকভাবে ব্যয়বহুল বলেও জানান সানাউল্লাহ। প্রতিটি ব্যালট পরিবহনে গড়ে ৫০০ টাকা খরচ হবে। তার ওপর রয়েছে ছাপানোর ব্যয়। নিবন্ধন প্রক্রিয়ার জন্য নেওয়া হচ্ছে ৪৮ টাকার প্রকল্প। হিসাব অনুযায়ী, প্রতি এক লাখ ভোটারের জন্য ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হতে পারে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে