ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায় ইসরায়েল। এই লক্ষ্যে একটি নতুন সামরিক পরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছে দেশটির যুদ্ধকালীন নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। শুক্রবার (৮ আগস্ট) এই পরিকল্পনার অনুমোদনের বিষয়টি সরকারি এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উপস্থাপিত প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যার লক্ষ্য হচ্ছে—হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল করে গাজার দখল নেওয়া এবং একটি বিকল্প বেসামরিক প্রশাসনের হাতে অঞ্চলটির শাসনভার তুলে দেওয়া।
সামরিক পরিকল্পনার পাশাপাশি মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসরায়েল। যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরের অংশে অবস্থানরত বেসামরিক মানুষদের জন্য চারগুণ বেশি ত্রাণ বিতরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় নতুন ১৬টি মানবিক সহায়তা কেন্দ্র খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
• হামাসকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ
• জিম্মি থাকা বাকি প্রায় ৫০ জনকে মুক্ত করা
• গাজা উপত্যকার সামগ্রিক নিরস্ত্রীকরণ
• অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা
• হামাস বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নয়, এমন একটি বিকল্প বেসামরিক সরকারের হাতে প্রশাসন তুলে দেওয়া
তিনি আরও বলেন, “হামাস শুধু ইসরায়েলিদেরই জিম্মি করেনি, বরং ২০ লাখ গাজাবাসীকেও জিম্মি করে রেখেছে। আমরা এই ভয়াবহ স্বৈরাচারের অবসান ঘটাতে চাই।”
তবে পরিকল্পনার সময়সীমা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত ছয় মাস মেয়াদি একটি সামরিক অভিযান হতে পারে।
এছাড়া, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামিরও এই পরিকল্পনার সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এক বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা দায়িত্বশীলতা, সততা ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে কাজ অব্যাহত রাখব। কেবলমাত্র ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও মঙ্গলই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রশাসনের ভবিষ্যৎ কাঠামো নিয়ে এখনো অস্পষ্টতা রয়েছে এবং এটি ভবিষ্যতের জন্য নতুন রাজনৈতিক ও সামরিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।