ঐক্যবদ্ধ সমমনাদের সামনে তারেক রহমানের বার্তা: “গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতেই হবে”

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট: ৮ আগস্ট, ২০২৫, ০৭:১৪ পিএম | প্রকাশ: ৮ আগস্ট, ২০২৫, ০৯:০৪ পিএম
ঐক্যবদ্ধ সমমনাদের সামনে তারেক রহমানের বার্তা: “গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতেই হবে”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “জনগণের রায়ের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক ও কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।” শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের ঐক্যের মাধ্যমেই দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে ফ্যাসিবাদ পতনের পথ তৈরি হয়েছে, যা চূড়ান্ত রূপ পেয়েছে জুলাইয়ের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে।”

এই সভায় উপস্থিত ছিলেন ১২ দলীয় সমমনা জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি এবং বাংলাদেশ লেবার পার্টির শীর্ষ নেতারা। বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান এবং ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু।

সমমনা জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর)-এর চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান হায়দার, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদ এবং বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।

তারেক রহমান তার বক্তব্যে বলেন, “ফ্যাসিবাদের পতনের যে আন্দোলন আপনারা এগিয়ে নিয়েছেন, তার ধারাবাহিকতায় আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিতে হবে তারা কেমন রাষ্ট্র চায়। বিএনপি যে ৩১ দফা রূপরেখা দিয়েছে, সেটিই হতে পারে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের ভিত্তি।”

তিনি আরও বলেন, “এই মুহূর্তে প্রয়োজন সর্বোচ্চ ঐক্য এবং দৃঢ়তা। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সহযাত্রার সূচনা হয়েছে, তা শুধু একটি সরকার পরিবর্তনের জন্য নয়, বরং রাষ্ট্রের কাঠামো সংস্কার ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা বিশ্বাস করি, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং জনগণের রায়ে বাংলাদেশ আবার ফিরে পাবে গণতন্ত্রের আলো।”

সভায় বিএনপির নেতারা ছাড়াও সমমনা দলের প্রতিনিধিরা যুগপৎ আন্দোলনের অগ্রগতি, সাংগঠনিক অবস্থান এবং ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। নেতারা বলেন, এই মতবিনিময় শুধু সৌজন্যমূলক নয়, বরং একটি কার্যকর রাজনৈতিক পরিবর্তনের রূপরেখা নির্ধারণেও গুরুত্বপূর্ণ।

বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও জনগণের রায়ের মাধ্যমে দেশে একটি গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে, যেখানে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকারের পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে