রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি ধীরে ধীরে কমছে। বাঁধের ১৬টি গেট সাড়ে তিন ফুট পর্যন্ত খোলা রেখে কয়েকদিন ধরে পানি নিষ্কাশন চললেও এবার প্রথমবারের মতো ছয় ইঞ্চি কমিয়ে তিন ফুট উচ্চতায় নামানো হয়েছে। শনিবার (৯ আগস্ট) রাত আটটার দিকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। এতে প্রতি সেকেন্ডে কর্ণফুলী নদীতে ৫৮ হাজার কিউসেক পানি ছাড়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।
কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান জানান, হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) ছাড়িয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে যাওয়ায় ধাপে ধাপে গেট খোলা হয়েছিল। এ মৌসুমে সর্বোচ্চ ১০৮.৮৪ এমএসএল পানি রেকর্ড করা হয়। গেট খোলার পর থেকে পানির স্তর ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে। শনিবার রাত ১০টায় পানির উচ্চতা রেকর্ড হয় ১০৮.৫৪ এমএসএল।
তিনি বলেন, “পানি কমার প্রবণতা শুরু হলেও স্তর এখনও বিপৎসীমার মধ্যে রয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাঁধের গেট ধীরে ধীরে নামিয়ে পানি ছাড়ার ফলে হঠাৎ প্লাবনের ঝুঁকি কিছুটা কমেছে। তবে পাহাড়ি ঢল বা অতিবৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হলে পানির স্তর আবারও বেড়ে যেতে পারে। ফলে স্থানীয়দের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।