কয়েকদিন আগেও সড়কে একটি ছোট গর্ত ছিল, কিন্তু মেরামত না হওয়ায় সময়ের সঙ্গে তা বড় আকার ধারণ করেছে। এখন তা পরিণত হয়েছে চরম দুর্ভোগের কারণ হিসেবে। বৃষ্টির পানি জমে তৈরি হচ্ছে কাদার স্তর, আর সেই জায়গায় উল্টে যাচ্ছে যানবাহন, হোঁচট খেয়ে পড়ে যাচ্ছেন পথচারীরা।
নেত্রকোনার দুর্গাপুর থেকে কলমাকান্দা যাওয়ার পথে উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের মধুয়াকোনা এলাকায় সড়কের অন্তত: ২০ ফুটের এই অংশে প্রতিদিনই ঘটছে এমন দুর্ঘটনা। জায়গাটি মাত্র ২০ ফুট হলেও দুর্ভোগ যেন সীমানাহীন। শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ছোট একটি গর্ত মেরামতের অভাবে এখন তা বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। চলাচলের সময় যেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে, তেমনি আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বলেন, একটু এদিক-সেদিক হলেই উল্টে পড়ছে গাড়ি। কেউ কেউ আহতও হচ্ছে। গত ৬/৭ দিন ধরে এই অবস্থা, কিন্তু মেরামতের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আমাদের দাবি দ্রুত যেন মেরামত করা হয়। এই সড়কে আরো কিছুকিছু জায়গায় ভাঙ্গন ধরেছে,বড়ধরণের ভাঙ্গন হওয়ার আগেই যেন ঐগুলিও সংস্কার করা হয়।
জানা গেছে, এই সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) এর আওতায়। প্রায় এক মাস আগে ছোট গর্ত সৃষ্টির পর গত সপ্তাহ সময় ধরে বড় আকার ধারণ করে। দুই উপজেলার যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে। মাত্র ২০ ফুট জায়গা হয়ে উঠেছে পথচারী, যাত্রী ও যানবাহনে জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এতে সময় নষ্ট, আর্থিক ক্ষতি, এমনকি প্রাণহানির আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। সড়কের বেহাল দশায় নিয়মিত যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, পথচারীদেরও অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। পথচারী হেলিম মিয়া বলেন, গতকাল এই সড়ক দিয়ে গিয়েছি, আজ আবার ফিরতে হচ্ছে। এই জায়গাটিতে এসে আধা ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি, গর্তে একটি গাড়ি আটকে গেছে। এখন জ্যাম লেগে গেছে এক ঘণ্টার আগে যাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের এই দুর্ভোগ কি সংশ্লিষ্টদের নজরে পড়ে না ? ইজিবাইক চালক রনি মিয়া বলেন, অন্যান্য যানবাহনের চেয়ে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছি আমরা। এই ক্ষতিগ্রস্ত স্থানটির কারণে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ওপারে গিয়ে আবার উঠাতে হচ্ছে। আরেক ইজিবাইক চালক বলেন, আমার গাড়ি উল্টে সব মালামাল নষ্ট হয়েছে, আমার গাড়িটাও ভেঙে গেছে এখন আমার জরিমানা গুনতে হচ্ছে। আমি গরিব মানুষ এতো টাকা কেমনে দেবো।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি অবগত হয়েছি এবং আমি জেলায় জানিয়েছি। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে দ্রুতই মোবাইল মেইনটেনেন্সের মাধ্যমে মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয়দের প্রত্যাশা আশ্বাসে নয়, অবিলম্ভে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে কর্তৃপক্ষ। যেন দ্রুত সংস্কারের মাধ্যমে এই দুর্ভোগের অবসান ঘটে।