সুজানগরে পাটের বাম্পার ফলন

এফএনএস (সুজানগর, পাবনা) : | প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫, ০২:৫১ পিএম
সুজানগরে পাটের বাম্পার ফলন

পাবনার সুজানগরে এক সময়ের প্রধান অর্থকরী ফসল সোনালী আঁশ পাটের এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি হাট-বাজারে পাটের বাজারও বেশ ভাল। তবে পাটকাটা এবং ধোয়া শ্রমিকের মজুরী মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় কৃষকের তেমন একটা লাভ হচ্ছেনা। 

সুজানগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবছর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯হাজার ৮‘শ হেক্টর জমিতে। কিন্তু অনুকূল আবহাওয়ার কারণে আবাদ হয়েছে ১০হাজার ৫‘শহেক্টর জমিতে। উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের পাট চাষী কামরুজ্জামান বলেন এ বছর অনুকূল আবহাওয়া আর উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে সঠিক সময়ে সার-বিষ দেওয়ায় উপজেলার সর্বত্র পাট ভাল হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ফলন হয়েছে ১০থেকে ১২ মণ করে। স্থানীয় হাট-বাজারে পাটের বাজারও বেশ ভাল। তবে পাটকাটা এবং ধোয়া শ্রমিকের মজুরী মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় খুব একটা লাভ হচ্ছেনা। উপজেলার মানিকহাট গ্রামের পাট চাষী ওমর আলী প্রামাণিক বলেন এ বছর যেমন তেমন একজন পাটকাটা এবং ধোয়া শ্রমিকের মূল্য ১৩‘শ থেকে ১৪‘শ টাকা। এছাড়া সার,বীজ এবং অন্যান্য খরচ তো আছেই। সবমিলিয়ে প্রতি বিঘা জমিতে পাট উৎপাদন করতে খরচ হয়েছে ২৪ থেকে ২৫হাজার টাকা। আর বর্তমানে উপজেলার হাট-বাজারে প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে ৩৫‘শ  থেকে ৩৬‘শ টাকা দরে। এ হিসাবে উৎপাদন খরচ বাদে প্রতি বিঘা জমির পাট বিক্রি করে কৃষকের তেমন একটা লাভ হচ্ছেনা। কিন্তু তার পরও উপজেলার অধিকাংশ কৃষক পাট আবাদে ঝুঁকছেন। পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচাল (শস্য) কৃষিবিদ মোঃ রাফিউল ইসলাম বলেন পাটের সুদিন ফিরতে শুরু করেছে। গত ৩/৪বছর পাটের বাজার ভাল হওয়ায় জেলার অধিকাংশ উপজেলার কৃষক পাট আবাদে ঝুঁকছেন। তাছাড়া হাট-বাজারে পাটের বাজারও বেশ ভাল। তবে এ বছর শ্রমিকের মজুরী বেশি হওয়ায় বাজার ভাল হলেও উৎপাদন খরচ বাদে লাভ একটু কম হচ্ছে।